ফতেপুর: প্রতিদিনের মতোই বাড়ির উঠোনে খেলছিল বাড়ির সকলের “চোখের মণি” তিনবছরের শিশুটি। কিছুক্ষণ বাদেই মা এসে দেখলেন, উঠোনে নেই তাঁর মেয়ে। প্রতিবেশীদের কাছেও গিয়ে কোনও খোঁজ না মেলায় কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। স্কুল থেকে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন তাঁর স্বামীও। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কথাবার্তার মাঝেই আচমকা খেয়াল করা হয়, বাড়ি থেকে গায়েব শিশুটির পিসিও। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রহস্য উদঘাটনে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশ সহ পরিবারেরও।
উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র ফতেপুরের বাসিন্দা দ্বিবেদী পরিবার। গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকেই তিনবছরের শিশু নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরই অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার পঞ্জাব(Punjab)-র জলন্ধরের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করে ওই “অপহৃত” শিশুটিকে। হোটেলের ঘরেই ছিল তাঁর পিসি ও প্রেমিকও। এরপরই পর্দাফাঁস হয়। জানা যায়, বাড়ি থেকে পালানোর পরিকল্পনা আগেই ছিল ওই তরুণীর। যাতে কারোর সন্দেহ না হয়, সেই কারণেই নিজের ভাইঝিকেই অপহরণ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:অম্বানী ভবন কাণ্ড: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে কী লিখেছিলেন মালিক?
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই নভদীপ সিং অরফে গিন্নি(২৫)-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নিশু দ্বিবেদী(২০)-র। তবে বাড়িতে সম্পর্ক মানবে না বুঝতে পেরেই প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন নিশু। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই মঙ্গলবার সুযোগ বুঝে ভাইঝিকে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে পঞ্জাবে পালিয়ে যান। সেখানেই জলন্ধরের একটি হোটেলে থাকছিলেন তাঁরা।
নিজের ভাইঝিকেই কেন অপহরণ করলেন, এই প্রশ্নের জবাবে নিশু জানান, যেহেতু তাঁরা এখনও বিয়ে করেননি, তাই হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই কারণেই ভাইঝিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন তিনি। হোটেলে গিয়ে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হিসাবে থাকছিলেন। সঙ্গে শিশুটি থাকায় সন্দেহ হয়নি হোটেল কর্তৃপক্ষেরও। ভাইঝির কোনও ক্ষতি করার পরিকল্পনা ছিল না বলেই দাবি ওই তরুণীর।
জলন্ধরের হোটেল থেকে শুক্রবার অক্ষত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করার পরই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ গ্রেফতার করে নিশু ও তাঁর প্রেমিককে। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনে পা আন্দোলনের, ৫ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে ‘কালা দিবস’ পালন কৃষকদের