দেশ: গিয়েছিলেন করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) নিতে। আর সেই ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে বছর বাইশের এক যুবক! ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে ইঞ্জেকশনের সুচের অর্ধেক ভেঙে ঢুকে গেল শরীরে। অসহ্য ব্যথায় কয়েকদিন ধরে ভুগছিলেন তিনি। এখন ডান হাত ও পায়ে প্যারালাইজড পরিস্থিতি উত্তর প্রদেশের ললিতপুরের ওই যুবকের। ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতরে।
জানা গিয়েছে, ২২ বছরের ইন্দ্রেশ অহিরওয়ার নামে ওই যুবক গত ৯ সেপ্টেমম্বর করোনা টিকা নিতে গিয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশের ললিতপুরের বনাউনি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবক এখন পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী। চিকিৎসকদের অনুমান, যে সুচ দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তা ভেঙে গিয়ে টিকা দেওয়ার পরেও তার শরীরে রয়ে গিয়েছিল তাঁর শরীরে। সেখান থেকেই এই অবস্থা।
সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে যুবকের। হাতের ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। টিকা নেওয়ার পরপর হাতে যন্ত্রণার সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আসে তাঁর। তবে প্রথমে একে চিকা নেওয়ার প্রতিক্রিয়া বলেই মনে করেছিলেন তিনি। কারণ, টিকা নেওয়ার পর জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্রমেই বাড়তে থাকে যন্ত্রণা। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে এর পর চিকিৎসকের কাছে যান ইন্দ্রেশ। প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন বটে। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকেরা কিছু করতে পারেননি।
পরে সংবাদমাধ্যমকে যুবক জানান, তাঁর হাত ক্রমশ অবশ হয়ে পড়েছে। সেপ্টেম্বরের ১৩ তারিখ নাগাদ ডান হাতে আর কোনও অনুভূতি নেই তাঁর। সেদিনই জেলা হাসপাতালে যান তিনি। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চমকে যান চিকিৎসকেরা। দেখা যায়, তাঁর হাত ফুঁড়ে সুচের ডগা ভেঙে ঢুকে রয়েছে। সিটি স্ক্যান করা হয় ইন্দ্রেশের।
সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে রিপোর্ট দেখার পর দ্রুত চিকিৎসকরা তাঁর শরীর থেকে সুচটি অপারেশন করে সরিয়ে নেন। কিন্তু রোগীর পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। তাঁর ডান হাত এবং পা এখনও অবশ হয়ে রয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে এর পর ঝাঁসি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। এখনও তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত রকম জটিল বলে খবর।
উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গ্রামের স্কুলে চলা টিকাশিববির থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন ওই যুবক। সেখানেই ঘটেছে এই ঘটনা। পুরো ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। চলছে তদন্ত। এখন যুবকের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত পরিবার। সুস্থ হয়ে উঠবে তো বছর বাইশের ছেলেটি, প্রশ্ন তাঁদের। এদিকে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটালেন তা নিয়েও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীর দিকে আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Covid Cases in India: করোনার শেষের শুরু! দেড় বছর পর প্রথম ‘অ্যাকটিভ কেস’ নামল ১ শতাংশের নীচে