নয়া দিল্লি: সোমবার বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। টুইটে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য (Mansukh Mandaviya) জানিয়েছে, চলতি মাসের ১৬ তারিখ অর্থাৎ বুধবার থেকে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণ (Covid Vaccination for Child) শুরু হবে। ছোটদের টিকাকরণ নিয়ে এই সুখবর ঘোষণা পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে প্রিকশন ডোজ়ের ক্ষেত্রে কো-মর্বিডিটি যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। টুইটে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লেখেন, “ছোটরা নিরাপদ থাকলে দেশও নিরাপদ থাকবে। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সবাইকে জানাতে চাই ১২, ১৩ ও ১৪ বছর বয়সীদেরকে আগামী ১৬ মার্চ থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। এছাড়াও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা সহজেই প্রিকশন ডোজ় পাবেন। আমি প্রত্যেক শিশু ও ৬০ বছর বয়সীদের অনুরোধ করছি, দ্রুত করোনা টিকা নেওয়ার জন্য।”
बच्चे सुरक्षित तो देश सुरक्षित!
मुझे बताते हुए खुशी है की 16 मार्च से 12 से 13 व 13 से 14 आयुवर्ग के बच्चों का कोविड टीकाकरण शुरू हो रहा है।
साथ ही 60+ आयु के सभी लोग अब प्रिकॉशन डोज लगवा पाएँगे।
मेरा बच्चों के परिजनों व 60+ आयुवर्ग के लोगों से आग्रह है की वैक्सीन जरूर लगवाएँ।
— Dr Mansukh Mandaviya (@mansukhmandviya) March 14, 2022
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকার ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের বাওলজিক্যাল-ই সংস্থার কর্বেভ্যাক্স টিকা দেওয়া হবে। দ্য ন্যাশানাল টেকনিক্যাল অ্যাডভিসরি গ্রুপ অব ইমিউনাইজেশ ছোটদের করোনা টিকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, “বুধবার থেকে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এছাড়াও ষাটোর্ধ্বদের প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার ক্ষেত্রেও কো-মর্বিডিটির যে নিয়ম রয়েছে, তাও বদল করা হয়েছে।”
কিছুদিন আগেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে সেই টিকাকরণের কাজ চালিয়েছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই প্রায় ২ কোটি টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের ঘোষণা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে সকলের টিকাকরণ অভিযান শুরু করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, গত বছর মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে ১৮ বছর উর্ধ্ব সকলের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করেছিল কেন্দ্র। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির সময় থেকেই দাবি করছিলেন যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন অন্যতম হাতিয়ার। তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্টই ইতিবাচক বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।