ওড়িশা: কয়েকদিন আগেই হাওড়ার নলপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস। যদিও ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে যায় ট্রেনটি। এবার বড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বেঁচে গেল একটি মালবাহী ট্রেনও। প্রাণে বাঁচলেন প্রায় হাজার খানেক যাত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ওড়িশায়। সূত্রের খবর, রেল লাইনের উপরে রাখা ছিল বড় বড় পাথর। এমনকি, লাইনের একাংশ ভেঙে রাখা ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। খোলা রয়েছে প্যান্ডল ক্লিপ। যার জেরে ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছিল এই দু’টি ট্রেনের জন্যই। অবস্থা দেখে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে ওড়িশার টিটলাগড়-রায়পুর সেকশনের অন্তর্গত নওয়াপাড়া এবং খারিয়ার রোড স্টেশনের মাঝখানে। ইস্ট কোস্ট রেল ডিভিশন সূত্রে খবর, ডাউন লাইনে মালগাড়িটি আসছিল। ওই লাইনে রাখা ছিল বড় বড় পাথর। ট্রেনটি যখন ওই এলাকায় ঢুকছে তখন কিছু দূর থেকেই মালগাড়ির চালক দেখতে পান দূরের লাইনে রাখা হয়েছে পাথর। সঙ্গে সঙ্গে আপতকালীন ব্রেক কষে মাল গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে দেন। খবর যায় নিকটবর্তী স্টেশনে। সেই সময় লাকনা স্টেশন পেরিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নওয়াপাড়া রোডের দিকে এগোচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে ছিল বন্দেভারত এক্সপ্রেসটি।
রেল সূত্রে খবর, বন্দে ভারত যখন সর্বোচ্চ গতি নিয়েছে, তখনই চালকের কাছে খবর যায় নিকটবর্তী স্টেশন থেকে। গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়। কালবিলম্ব না করে আপতকালীন ব্রেক কষেন বন্দে ভারতের চালকও। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ১০-১১ মিনিটের মধ্যেই ওই লাইনে পৌঁছে যেত বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি। রেল সূত্রে খবর, মালগাড়ির চালক যদি না দেখতে পেতেন তাহলে বন্দে ভারত ওই লাইনে আসার পর মালগাড়িকে লুপ লাইনে দিয়ে বন্দে ভারতকে পার করানো হতো। আর তখনই ঘটে যেতে পারতো বড়সড় বিপর্যয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এফআইআর করা হয়েছে টিটলাগড় পুলিশ স্টেশনে। নাশকতার অভিযোগই করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাহসিকতার জন্য দুই ট্রেনের চালককেই পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।