Drunk Man: মত্ত ছেলের হুজ্জুতিতে নাজেহাল, ‘মুক্তি’ পেতে সুপারি কিলারকে ৮ লক্ষ টাকা দিল পরিবার

Telangana: ২৬ বছরের বেকার যুবকের এই আচরণ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। বহু চেষ্টা করেও তাঁর স্বভাবের পরিবর্তন করা যায়নি বলে দবি করেছেন পরিবারের লোকেদের।

Drunk Man: মত্ত ছেলের হুজ্জুতিতে নাজেহাল, 'মুক্তি' পেতে সুপারি কিলারকে ৮ লক্ষ টাকা দিল পরিবার
ধৃত পরিবারের লোকেরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2022 | 6:47 PM

হায়দরাবাদ: কলেজের পাঠক্রম শেষ না করেই ছেড়েছিলেন পড়াশোনা। বয়স হয়ে গিয়েছে ২৬ বছর। কিন্তু কোনও কাজ জোটাতে পারেননি। পরিবারের অভিযোগ কাজ খোঁজার কোনও চেষ্টাও নেই তাঁর। বেকার হয়ে এখান ওখান ঘুরে বেড়ান। আর বাড়ি থেকে ঘনঘন টাকা দাবি করেন। প্রতিদিন ওই যুবকের একটাই কাজ মদ খাওয়া। সকাল-বিকাল সব সময়ই ওই যুবক মদে চুর হয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। মদ কেনার টাকা না থাকলেই বাড়ির লোকের উপর হুজ্জুতি চালানোর অভিযোগ ছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ২৬ বছরের বেকার যুবকের এই আচরণ বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। বহু চেষ্টা করেও তাঁর স্বভাবের পরিবর্তন করা যায়নি বলে দবি করেছেন পরিবারের লোকেদের। যুবকের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে তাঁরই পরিবারের লোকেরা। সেই মতো ভাড়াটে খুনিরা খুন করেন ওই যুবককে। ওই যুবকের দেহ উদ্ধারের পর ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তার পর সামনে আসে গোটা বিষয়টি। এর পরই ওই যুবকের পরিবারের সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানায়।

তেলঙ্গানার খাম্মাম জেলার সাত্থুপল্লি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ২৬ বছরের ওই যুবক। তাঁর নাম ক্ষত্রিয় সাইনাথ। তাঁর বিরুদ্ধে সবসময় মত্ত হয়ে থাকার অভিযোগ উঠত। এই আচরণের জন্য বিরক্ত ছিল পরিবারের লোকেরা। সে জন্য় সাইনাথের পরিবারের লোকেরা পাঁচ জনকে ভাড়া করেন। তাঁরা সাইনাথকে গলা টিপে খুন করে। তার পর সাইনাথের গাড়িতে করেই দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলে আসে মুসি নদীতে। এর পর স্থানীয়রা নদীতে দেহ ভেসে উঠতে খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে তদন্তে নামে।

পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধারের ১০ দিন পর হাসপাতালের মর্গে এসে দেহ শনাক্ত করে তাঁর বাড়ির লোকেরা। এর পর দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইনাথের পরিবারের লোকেদের ডাকা হয়। সাইনাথের দেহ ফেলে জন্য যে গাড়ির উপর সন্দেহ ছিল পুলিশের। সেই গাড়িতে করেই থানায় আসে মৃতের পরিবারের লোকেরা। এতে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। তখন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই গোটা ঘটনার কথা সামনে আসে। জানা গিয়েছে, সাইনাথকে খুনের জন্য তাঁর পরিবারের লোকেরা ৮ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিল।