ভিডিয়ো: লকডাউনে ওষুধ কিনতে বেরনোর ‘অপরাধে’ জুটল বেধড়ক মার, চড় মারলেন জেলাশাসকও

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

May 23, 2021 | 7:39 AM

ওই যুবক জানান, তিনি ওষুধের দোকানে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে আটকে জেলাশাসক তাঁর গন্তব্য জানতে চান। কিন্তু জবাব দিতেই তিনি নিজেও মারতে শুরু করেন ও বাকিদেরও মারার নির্দেশ দেন।

ভিডিয়ো: লকডাউনে ওষুধ কিনতে বেরনোর অপরাধে জুটল বেধড়ক মার, চড় মারলেন জেলাশাসকও
লকডাউনের মাঝে ওষুধ কিনতে বের হওয়ায় চড় মারেন জেলাশাসক।

Follow Us

রায়পুর: লকডাউনের মধ্যে বেরিয়েছিলেন ওষুধ কিনতে, জুটল কেবল পুলিশের মারধর। কাগজপত্র দেখানো সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিকে জেলা আধিকারিক চড় মারেন ও পুলিশকর্মীদের লাঠির বাড়ি মারতে নির্দেশ দেওয়ার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের সুরজপুরে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা যায়, জেলাশাসক ওই যুবকের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। সেই কাগজগুলি দেখানোর মাঝেই তিনি যুবকের ফোনও দেখতে চান। কিন্তু ফোনটি হাতে নিয়েই তা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলেন এবং যুবককে চড় মারেন। গোটা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় ওই যুবক। এরইমধ্যে রাস্তার ওপার থেকে পুলিশ ও জেলা শাসকের নিরাপত্তারক্ষীরাও হাজির হয়। ভিডিয়ো বানাচ্ছে, এই অভিযোগ করে ওই যুবককে মারার নির্দেশ দেন জেলাশাসক।

যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত গতিতে বাইক চালানো ও দাঁড় করাতে বলা সত্ত্বেও না দাঁড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

পরবর্তী সময়ে ওই যুবক জানান, তিনি ওষুধের দোকানে যাচ্ছিলেন। সেইসময় জেলাশাসক মাঝপথে আটকে তাঁর গন্তব্য জানতে চান। কিন্তু জবাব দিতেই তিনি নিজেও মারতে শুরু করেন ও বাকিদেরও মারার নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, জেলাশাসক জানান, কাউকে অপমান বা ছোট করার উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। লকডাউনের মধ্যেও রাস্তায় বের হওয়ায় চড় মেরেছিলাম। সেই জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া ওই যুবক যে নাবালক নয়, তাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কমল নাথের ‘আগ লাগা দো’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্টের অভিযোগ বিজেপির

Next Article