দান্তেওয়াড়া: দীর্ধদিন ধরেই খোঁজ চলছিল মাওবাদী নেতার (Maoist Leader)। তার হদিস দিতে পারলে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণাও করেছিল সরকার, তবুও প্রতিবার চোখে ধুলো দিয়ে পালাচ্ছিল ওই মাওবাদী নেতা। অবশেষে খতম করা হল “ওয়ান্টেড” মাও নেতাকে। শুক্রবার দান্তেওয়াড়া(Dantewada)- এ নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে (Encounter) তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
ছত্তীসগঢ়ে (Chhattisgarh) মাওবাদী সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে দান্তেওয়াড়ায় একাধিকবার পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। শুক্রবারও দান্তেওয়াড়ার গিদাম পুলিশ স্টেশনের অধীনে একটি জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল জেলা পুলিশের রিজার্ভ গার্ড (District Reserve Guard)।
বিকেল চারটে নাগাদ জঙ্গলে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাওবাদীদের একটি দলের মুখোমুখি হয় ডিআরজি দল। শুরু হয় গুলির লড়াই। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর গাছের আড়ালে পালিয়ে যায় মাওবাদীরা। ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়েই রামসু কোর্রাম নামক ওই মাওবাদী নেতার দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ওই মাওবাদী নেতা ১৬ নম্বর প্ল্যাটুনের কম্যান্ডার ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে একটি ৭.৬২ এমএমের পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষস্থল থেকে ৫ কেজি আইইডি বিস্ফোরক ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিগত কয়েক মাস ধরেই জঙ্গলের এই অংশে ঘাঁটি বানিয়ে থাকছিল মাওবাদীরা।
এর দু’মাস আগে উত্তরাখণ্ড থেকে কুখ্যাত মাওবাদী নেতা ভাষ্কর পাণ্ডেকে গ্রেফতার করা হয়। উত্তরাখণ্ড পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। তার মাসখানেক আগেই মাওবাদী নিকেশে বড় সাফল্য পেয়েছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। গোপন সূত্রে মাওবাদী উপস্থিতির খবর পেয়ে একটি অভিযান চালিয়ে ১৩ জন মাওবাদীকে খতম করেছিল নাগপুর পুলিশ।
অন্যদিকে, গত ২৬ সেপ্টেম্বরই মাওবাদী সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে ১০ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করা হয়। পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের নিরাপত্তায় মোতায়েন প্যারামিলিটারি ফোর্সের প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকের অংশ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।