মুম্বই: মহারাষ্ট্রে হনুমান চলিশা (Hanuman Chalisa Row) নিয়ে বিতর্ক ক্রমেই বাড়ছে। বাড়তে থাকা এই বিতর্কের মাঝে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এবার এই বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। সোমবার কড়া হুঁশিয়ারির সুরে উদ্ধব বলেন, ‘দাদাগিরির বিরুদ্ধে কী ভাবে লড়তে হয়, সেটা আমাদের জানা আছে।’ এদিন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সুর শোনা গিয়েছে শিবসেনা (Shivsena) প্রধানের গলায়, ভুয়ো হিন্দুদের তিনি ‘বুঝে নেবেন’ পাশাপাশি খুব দ্রুত শিবসেনা মিছিল করবে তাও জানিয়ে দিয়েছেন উদ্ধব। তিনি বলেন, “অনেকেই বলছেন আমরা হিন্দুত্বকে অবহেলা করেছি। হিন্দুত্ব মানেই কী ধুতি পরা? ভগবান হনুমানের গদার মতোই আমাদের হিন্দুত্ব ‘গদাধারী’। আপনি যদি হনুমান চলিশা পড়তে চান তবে, বাড়িতে চলে আসুন। কিন্তু আপনি যদি দাদাগিরি করার চেষ্টা করেন, তবে আমরা জানি কী ভাবে এর মোকাবিলা করতে হয়।” শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, সোমবার নাম না করে বিজেপিকে ঝাঁঝালো ভাষায় আক্রমণ করেন। উদ্ধবের দাবি, ইদুঁরের গর্তে লুকিয়ে থেকে তাঁকে হিন্দুত্ব নিয়ে জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়ও এদের খুঁজে পাওয়া যায়নি, বলেন শিবসেনা প্রধান।
উদ্ধবের আর্জি, আপনি যদি আমার বাড়িতে হনুমান চালিশ পড়তে চান, তবে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে সেটা করতে হবে। গত শনিবার থেকে মহারাষ্ট্রে হনুমান চলিশা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। নির্দল সাংসদ নবনীত রানা ও তাঁর স্বামী তথা বিধায়ক রবি রানাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি ‘মাতশ্রী’-র বাইরে হনুমান চলিশা পাঠ করার ডাক দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এই ঘটনার ফলে শিব সৈনিকরা রাগে ফুঁসতে থাকে এবং প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “হনুমান চলিশা পড়ার হলে নিজের বাড়িতে পড়ুন। আপনাদের কী বাড়িঘর নেই? অনেকেই পরিবেশ পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।” রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মহারাষ্ট্র সরকারের নিন্দা করে বলেছেন, ‘এই সরকার রাজ্যের ইতিহাসে সব থেকে বেশি অসহিষ্ণু’।