Mamata meets Modi: প্রধানমন্ত্রীর দরবারে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি মমতার

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 25, 2021 | 7:28 AM

Mamata-Modi Meeting: দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দিল্লির সফরের উদ্দেশ্য। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

Follow Us

নয়া দিল্লি : বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে তৃণমূলকে তুলে ধরতে এবং জাতীয় রাজনীতিতে দলের অস্তিত্ব পোক্ত করতে রাজধানীতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর পাশাপাশি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানও তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। আজ বিকেল পাঁচটায় মমতার সঙ্গে দেখা দেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আজ একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় মমতার।

রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির নিয়ে কেন্দ্রের উপর বেজায় চটে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার প্রকাশ্য়ে সরব হয়েছেন এই নিয়ে। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দিল্লির সফরের উদ্দেশ্য। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় মমতার। আজ বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে। বিএসএফ আমাদের শত্রু নয়। আমরা আমাদের মতো করে বিএসএফের সাহায্য় করতে তৈরি। কিন্তু আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের বিষয়। সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।”

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের-এর গুলি চালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলায়। বিএসএফ বলেছিল ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সেই প্রসঙ্গও আজ টেনে আনেন মমতা।

এর পাশাপাশি আলোচনা হয় রাজ্যের প্রাপ্য টাকা নিয়েও। আমফান, ইয়াস সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, ন্যাশনাল হেলথ মিশন, জল জীবন মিশন-সহ বেশ কিছু প্রকল্পের টাকাও পাওনা রয়েছে রাজ্যের। সেই টাকা রাজ্যকে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর পাশাপাশি রাজ্যে পাট শিল্পের বিষয়েও ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে মমতার সঙ্গে একমত। রাজ্যের পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য যে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, সেই ইঙ্গিতও উঠে এসেছে মমতা-মোদীর বৈঠকে। মমতা জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী ১০০ শতাংশ পাট শিল্পের পক্ষে রয়েছেন। আমাদের রাজ্যও ১০০ শতাংশ পাটশিল্পের পক্ষে রয়েছে।”

আর শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতাও বলছেন, রাজ্যের উন্নতিতেই কেন্দ্রের উন্নতি। তাহলে কি এবার নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত? আজ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জন্য হলুদ গোলাপের তোড়াও নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা। আর হলুদ গোলাপ মানেই… দেখা যাক, এই হলুদ গোলাপের হাত বদলে বন্ধুত্বের কোনও নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় কি না।

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে ত্রিপুরা হিংসার নালিশ! পৌরভোটের আগের সন্ধেয় মমতার ‘সায়নী-তাস’

দেখুন ভিডিয়ো :

নয়া দিল্লি : বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে তৃণমূলকে তুলে ধরতে এবং জাতীয় রাজনীতিতে দলের অস্তিত্ব পোক্ত করতে রাজধানীতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এর পাশাপাশি বাংলার প্রশাসনিক প্রধানও তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বাংলার দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। আজ বিকেল পাঁচটায় মমতার সঙ্গে দেখা দেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আজ একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয় মমতার।

রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধির নিয়ে কেন্দ্রের উপর বেজায় চটে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার প্রকাশ্য়ে সরব হয়েছেন এই নিয়ে। দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগেই মমতা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দিল্লির সফরের উদ্দেশ্য। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয় মমতার। আজ বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে। বিএসএফ আমাদের শত্রু নয়। আমরা আমাদের মতো করে বিএসএফের সাহায্য় করতে তৈরি। কিন্তু আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের বিষয়। সীমান্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো হলে রাজ্যের আইন – শৃঙ্খলার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে।”

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কোচবিহারের সিতাই সীমান্তে বিএসএফের-এর গুলি চালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলায়। বিএসএফ বলেছিল ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সেই প্রসঙ্গও আজ টেনে আনেন মমতা।

এর পাশাপাশি আলোচনা হয় রাজ্যের প্রাপ্য টাকা নিয়েও। আমফান, ইয়াস সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার খাতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। পাশাপাশি আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা, ন্যাশনাল হেলথ মিশন, জল জীবন মিশন-সহ বেশ কিছু প্রকল্পের টাকাও পাওনা রয়েছে রাজ্যের। সেই টাকা রাজ্যকে দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর পাশাপাশি রাজ্যে পাট শিল্পের বিষয়েও ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে বেরিয়ে মমতা সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে মমতার সঙ্গে একমত। রাজ্যের পাটশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে কেন্দ্র ও রাজ্য যে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, সেই ইঙ্গিতও উঠে এসেছে মমতা-মোদীর বৈঠকে। মমতা জানিয়েছেন, “প্রধানমন্ত্রী ১০০ শতাংশ পাট শিল্পের পক্ষে রয়েছেন। আমাদের রাজ্যও ১০০ শতাংশ পাটশিল্পের পক্ষে রয়েছে।”

আর শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতাও বলছেন, রাজ্যের উন্নতিতেই কেন্দ্রের উন্নতি। তাহলে কি এবার নতুন কোনও রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত? আজ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর জন্য হলুদ গোলাপের তোড়াও নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা। আর হলুদ গোলাপ মানেই… দেখা যাক, এই হলুদ গোলাপের হাত বদলে বন্ধুত্বের কোনও নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় কি না।

আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গিয়ে ত্রিপুরা হিংসার নালিশ! পৌরভোটের আগের সন্ধেয় মমতার ‘সায়নী-তাস’

দেখুন ভিডিয়ো :

Next Article