নয়া দিল্লি: ক’টা দিন পরেই বাজেট (Budget 2021) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম পেশ হবে ‘পেপারলেস’ বাজেট। করোনা আবহে বাজেট পেশের ধরন বদলালেও এবার বাজেট নিয়ে অধিক প্রত্যাশা আম আদমির। সরকার করোনা মহামারী মাথায় রেখে বাজেটে কী নতুন মাত্রা দেয়, সে দিকেই তাকিয়ে ১৩৫ কোটি। নির্মলা সীতারামন আগেই জানিয়েছেন, করোনা আবহে এবার একেবারে অন্য ধরনের বাজেট দেখবে দেশ।
তবে বাজেটে আয়কর স্ল্যাবের খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। অন্যদিকে এবার বাজেটে সংযুক্ত হতে পারে করোনা সেস। করোনা সারচার্জও এবার বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। দেশের জিডিপি এখনও মাইনাসে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকেই রেকর্ড পতন হয়েছিল জিডিপিতে। করোনা আবহে প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি ছিল মাইনাস ২৩.৯। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় অর্থনীতি। জিডিপি হয় মাইনাস ৭.৫। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিডিপি পজিটিভে ফিরতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। তবে সামগ্রিক অর্থবর্ষের সঙ্কোচন হবে, এমনটাই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও এনএসও।
আরও পড়ুন: পুরনো গাড়িতে ‘গ্রিন ট্যাক্স’ চাপাচ্ছে কেন্দ্র, আপনার গাড়িতে বসছে না তো!
এমতাবস্থায় বাজেটের আগে ৫০ হাজার ছুঁয়েছে সেনসেক্স। শেয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ক’টা দিন বাজার চলবে বাজেটের দিকে তাকিয়েই। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এবারের বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা …
ট্যাক্স সেভিং ইনভেস্টমেন্ট: ৮০সি ও ৮০ সিসিডি এই দুই ধারায় পরিবর্তন এনে সরকার ট্যাক্স সেভিং ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে দিতে পারে। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি ফান্ডের প্রতি প্রবণতা বাড়তে পারে। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ভাবে আয়করে বিশাল কোনও পরিবর্তন না এলেও পরোক্ষ ভাবে সেভিংসের মাধ্যমে ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র। যার ফলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতিতেও যেমন প্রভাব পড়বে, তেমনই উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ।
করোনা ব্যয়ে ট্যাক্স ছাড়: যেসব ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে অনেক টাকা ব্য়য় করেছেন তাদের ট্যাক্সে ছাড় দিতে পারে সরকার। এক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি প্রযোজ্য। তাদের আয়করে ছাড় দিলে সরকার এবং উপভোক্তা উভয়েরই উপকৃত হবেন।
নতুন ধরনের ট্যাক্স সেভিং বন্ড: করোনা বন্ডের মতোই অন্য কোনও বন্ড এনে ট্যাক্সে ছাড় দিতে পারে সরকার।
বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়: সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও ভাবে ছাড় দিয়ে ট্যাক্স ইনসেন্টিভ দিতে পারে। যার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হবে।