AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পুরনো গাড়িতে ‘গ্রিন ট্যাক্স’ চাপাচ্ছে কেন্দ্র, আপনার গাড়িতে বসছে কি?

যে সব গাড়ি পরিবেশ দূষণে দায়ী, তাদেরকে কার্যত বাতিলের খাতায় পাঠাতেই বসানো হচ্ছে গ্রিন ট্যাক্স বা দূষণ কর

পুরনো গাড়িতে 'গ্রিন ট্যাক্স' চাপাচ্ছে কেন্দ্র, আপনার গাড়িতে বসছে কি?
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2021 | 6:08 PM
Share

নয়া দিল্লি: কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার চেষ্টা! দূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। পুরনো গাড়িতে চাপাতে চলেছে ‘গ্রিন ট্যাক্স’ বা দূষণ কর। এই কর প্রস্তাবে সম্মতি মিলেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকরীর তরফে। জানা যাচ্ছে, ১৫ বছরের বেশি সরকারি কাজে ব্যবহৃত গাড়িও বাতিল হবে আগামী অর্থবর্ষ থেকেই।

গ্রিন ট্যাক্স কী এবং কেন?

যে সব গাড়ি পরিবেশ দূষণে দায়ী, তাদেরকে কার্যত বাতিলের খাতায় পাঠাতেই বসানো হচ্ছে গ্রিন ট্যাক্স বা দূষণ কর। করোনাকালের আগের থেকেই গাড়ি বাজারে মন্দা দেখা যায়। চাহিদা না থাকায় উৎপাদন তলানিতে ঠেকে। গাড়ি শিল্প তথা সামগ্রিক অর্থনীতিতে কেন্দ্রের একাধিক পদক্ষেপের জেরে মন্দার মুখ দেখতে হয়েছে গাড়ি নির্মাতাদের। পুরনো গাড়ি বাতিল করার পক্ষে বরাবরই সওয়াল করে এসেছে তারা। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই কর বসালে পুরনো গাড়ি বাতিল করা এবং নতুন গাড়ির কেনার তাগিদ তৈরি হবে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

কত বসতে পারে গ্রিন ট্যাক্স?

জানা যাচ্ছে, ৮ বছর বা তার বেশি পুরনো গাড়ি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে রোড করের উপর ১০ থেকে ২৫ শতাংশ দূষণ কর বসতে পারে। ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ নবীকরণের সময় এই কর ধার্য করা হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ বছর বা ততোধিক হলে বসবে এই কর। এই প্রস্তাবে আরও জানানো হয়েছে, যে সব শহরে দূষণের মাত্রা বেশি, সেখানে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এই কর ধার্য হতে পারে।

কোন গাড়ির ক্ষেত্রে এই কর প্রযোজ্য?

জ্বালানি (পেট্রল ও ডিজেল) এবং গাড়ির প্রকারভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন মাত্রায় বসবে গ্রিন ট্যাক্স। এছাড়া, বৈদ্যুতিক, হাইব্রিড, ইথানল, সিএনজি, এলপিজি দ্বারা চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে এই করের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে। কৃষিকাজে ব্যবহৃত গাড়িও এই করের বাইরে থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- ‘ঐতিহাসিক’ প্রজাতন্ত্র দিবস: রাজধানীর পথে রওনা দিল অন্নদাতাদের ৩ লক্ষ ট্রাক্টর

সরকারের যুক্তি

মোট গাড়ির মাত্র ৫ শতাংশ হল বাণিজ্যিক গাড়ি। কিন্তু এই সামান্য শতাংশ গাড়ির থেকে উৎপন্ন দূষণ মোট দূষণের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ। পাশাপাশি, ২০০০ সালের আগে তৈরি গাড়ি রাস্তায় মাত্র এক শতাংশ দেখা যায়। কিন্তু ১৫ শতাংশ দূষণ তৈরি হয় এ সব গাড়ি থেকে। অন্যদিকে, নতুন গাড়ির তুলনায় এক দশক পুরনো গাড়ি প্রায় ১০ থেকে ২৫ শতাংশ দূষণ তৈরি করতে সক্ষম। তাই, কেন্দ্রের যুক্তি, দূষণের নিরিখে গ্রিন কর চাপালে, এ সব গাড়ি চালানোর প্রতি অনীহা তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে নতুন গাড়ির কেনার উৎসাহ বাড়বে।