Hotline: মুখোমুখি হচ্ছেন ভারত-পাকিস্তানের DGMO, কী এই হটলাইন? কীভাবে কাজ করে এটি?
Hotline: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার মধ্যে প্রথম হটলাইন ব্যবহার হয়েছিল।

নয়া দিল্লি: সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছে বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতার। যদিও সব খবর প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে, আজ সোমবার দুই দেশের ডিজিএমও-র মধ্যে কথা চলছে। কিন্তু এসব আলোচনা বা কথাবার্তা কি আপনার-আমার মতো ফোনে হয়? নাকি কোনও অ্যাপের মাধ্যমে হয় যোগাযোগ?
কী এই হটলাইন?
আসলে কোনও দেশের প্রশাসনিক প্রধান বা শীর্ষস্তরের আধিকারিকরা অন্য দেশের প্রশাসনিক প্রধান বা শীর্ষস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ‘হটলাইনে’।
‘হটলাইন’ হল এমন এক ধরণের ফোন লাইন বা যোগাযোগ ব্যবস্থা, যা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারেন না। দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি বা শীর্ষকর্তার এই লাইন ব্যবহার করে ফোন করেন। এটি একটি অত্যন্ত নিরাপদ মাধ্যম। কোনও বাধা ছাড়াই এই লাইনে কথা বলা যায়।
কখন কথা হয় হটলাইনে?
যে কোনও দুর্যোগ, জরুরি অবস্থা বা উভয় দেশকে প্রভাবিত করে এমন কোনও সমস্যার পরিস্থিতি তৈরি হলে হটলাইন ব্যবহার করে কথা বলা বলেন দেশের শীর্স আধিকারিকরা। এই লাইনে সব কথাবার্তা একেবারে গোপন থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ‘হটলাইন’ খুবই কার্যকর।
হটলাইন আর সাধারণ ফোনের মধ্যে কী পার্থক্য?
সাধারণ টেলিফোনে কথা বলতে গেলে একটি নম্বর ডায়াল করে কথা বলতে হয়। যেখানে হটলাইনে কোনও নম্বর ডায়াল করার প্রয়োজন হয় না। হটলাইনে রিসিভারটি ধরার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত ব্যক্তির সঙ্গে কলটি যুক্ত হয়ে যায়।
হটলাইনটি প্রথম কবে ব্যবহার হয়?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ড এবং আমেরিকার মধ্যে প্রথম হটলাইন ব্যবহার হয়েছিল। এরপর, ১৯৬৩ সালে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে একটি হটলাইন স্থাপন করা হয়। ১৯৬২-র অক্টোবরে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের সময়, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা পরমাণু যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এরপর ১৯৬৩-র ২০ জুন হটলাইন পরিষেবা শুরু হয়।
