মুম্বই: ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর (Mukesh Ambani) বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়েছিল রহস্যজনক বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। ২৫ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনা ঘিরে দানা বাঁধছে একের পর এক রহস্য। বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির দায়ভার স্বীকার করেছিল জইশ-উল-হিন্দ জঙ্গি সংগঠন। কিন্তু গাড়ির মালিকের পরিচয় প্রকাশ্যে আসতে আরও ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। গত শুক্রবার কালাওয়া ডোবা থেকে ওই গাড়ির মালিক মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এ বার জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কয়েক দিন আগেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুম্বই পুলিশের প্রধানকে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
যেখানে মনসুখ চিঠিতে জানিয়েছিলেন, তাঁকে হেনস্থা করছেন পুলিশ ও সাংবাদিকরা। তাই আইনি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। তবে গাড়ির মালিক সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছে মুম্বই পুলিশ। ওই গাড়ি মালিকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, ওই এসইউভি গাড়িটির আসল মালিক আলাদা একজন ব্যক্তি। মনসুখ আসলে একজন গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রেতা। যেহেতু ওই এসইউভি গাড়িটির মেরামত করার জন্য গাড়ির মালিক তাঁকে টাকা দেয়নি, তাই সেই গাড়ি তিনি আটকে রেখে দিয়েছিলেন, এমনটাই জানিয়েছেন দেশমুখ।
এদিকে, গাড়িটি উদ্ধার হওয়ার পর যখন মনসুখকে জেরা করা হয়েছিল, তখন তিনি জানিয়েছিলেন, বিগত একবছর ধরে গাড়িটি ব্যবহার করেননি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি গাড়িটি বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই বের করেন, কিন্তু মাঝপথেই খারাপ হয়ে যায় গাড়িটি। মুলুন্দ-আইরোলি লিঙ্ক রোডে তিনি গাড়িটি দাঁড় করিয়ে বাড়ি ফিরে যান। পরের দিন গিয়ে দেখেন, সেখান থেকে বেপাত্তা গাড়িটি। এরপর ভিখরোলি থানায় তিনি গাড়ি চুরির অভিযোগও জানান।
২ মার্চ মনসুখ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে গাড়ি চুরির কথা জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর মৃত্যুতে অম্বানী কাণ্ড অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। মহারাষ্ট্রে বিরোধীরা দাবি তুলছে, এই মামলার দায়ভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেওয়ার।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনে পা আন্দোলনের, ৫ ঘণ্টা পথ অবরোধ করে ‘কালা দিবস’ পালন কৃষকদের