
কখনও একসঙ্গে সিগারেট খেতে, কখনও বা হুডখোলা গাড়ি সওয়ারি করতে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর জওহরলাল নেহরু ও লেডি মাউন্টব্যাটনের সম্পর্ক যেন ছিল বড়ই খোলামেলা। তবে ইতিহাসের সেই ছবিগুলি নিয়ে তোপ দাগতে কিন্তু কখনওই পিছপা হয় না পদ্ম শিবির। তবে এবার তাঁদের হাতে নতুন হাতিয়ার। নেহরু-লেডি মাউন্টব্যাটনের ব্যক্তিগত চিঠি নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। লোকসভায় প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন সাংসদ সম্বিত পাত্র। যার জেরে কার্যত উত্তাল জাতীয় রাজনীতি।
কীভাবে বিতর্কে সূত্রপাত?
সনিয়া গান্ধীর কাছে থাকা ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিঠি ফিরিয়ে দেওয়া হোক, এমনটাই আর্জি জানিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে চিঠি পাঠাল দিল্লির ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার’।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সনিয়ার কাছে থাকা প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিঠিগুলি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। চিঠির আসল প্রতিলিপি না ফেরানো হলেও অন্তত ফটোকপি যেন ফেরত দেওয়া হয়। বর্তমান ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালা এবং গ্রন্থাগার’অধুনা নেহেরু সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধানেই এই চিঠিগুলি ছিল, কিন্তু ইউপিএ জমানায় তা চলে যায় সোনিয়া গান্ধীর হাতে। আপাতত সেই চিঠিই ফেরত চায় কেন্দ্র। যা থেকে সূত্রপাত বিতর্কের।
উল্লেখ্য, মাউন্টব্যাটনের স্ত্রী এডউইনা মাউন্টব্যাটনকে পাঠানো জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত চিঠিগুলিও প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গেই সুর চড়িয়ে বিজেপির সাংসদ সম্বিত পাত্র এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন যে, ‘আমার খুব কৌতূহল যে মাউন্টব্যাটনের স্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে কী এমন লিখেছিলেন নেহরু?’
তিনি আরও জানিয়েছেন,’ইউপিএ সভাপতি থাকাকালীন নেহরু সংগ্রহশালা ও গ্রন্থাগার থেকে এই চিঠিগুলিকে সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি পিএমএমএল-এর সদস্য রিজ়ওয়ান কাদরি রাহুল গান্ধীকে সেই চিঠিগুলি ফিরিয়ে দেওয়া আর্জি জানিয়েছে।’
কী এমন রয়েছে সেই চিঠিগুলিতে?
জানা যায়, লর্ড মাউন্টব্য়াটন, তাঁর স্ত্রী, জয়প্রকাশ নারায়ণ ছাড়াও একাধিক নামজাদা ব্যক্তিত্বকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। যা ইউপিএ জমানায় হাতে যায় সনিয়া গান্ধীর। এবার সেই চিঠি ফেরত চায় কেন্দ্রীয় সরকার।