Modi Cabinet: বাংলা পেল মাত্র ২, ইউপি ১০! কোন রাজ্য থেকে কজন করে মন্ত্রী হলেন এবার?
Modi Cabinet: বাংলা থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে ২জনকে - সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। তবে দুজনেই রাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে অনেকেই হতাশ। বাংলা এবার আরও বেশি মন্ত্রী পাবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। বাংলার মতো বিজেপির ফল ভাল হয়নি উত্তর প্রদেশেও। তবে, সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যই।
নয়া দিল্লি: রবিবার (৯ জুন), নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আরও ৭১ জন মন্ত্রীর সঙ্গে এক জমকালো অনুষ্ঠানে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্যে ৩০ জন পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। ৩৬ জন পেয়েছেন রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। আর ৫ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, শিবরাজ সিং চৌহানরা মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন চিরাগ পাসওয়ান, জিতন রাম মঝদের মতো এনডিএ-র বেশ কয়েকটি শরিক দলের নেতারাও। নির্বাচনে হেরে যাওয়া বিগত মন্ত্রিসভার ১৭ মন্ত্রীর মধ্যে ১৬ জনই বাদ পড়েছেন। আবার, হেরে গিয়েও মন্ত্রী হয়েছেন রবনীত সিং বিট্টু।
বাংলা থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে ২জনকে – সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুর। তবে দুজনেই রাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে অনেকেই হতাশ। বাংলা এবার আরও বেশি মন্ত্রী পাবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। প্রত্যাশা ছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে। বাংলার মতো বিজেপির ফল ভাল হয়নি উত্তর প্রদেশেও। তবে, সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়েছে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যই। দেখে নেওয়া যাক, নয়া মন্ত্রিসভায় কোন রাজ্য থেকে কতজন সদস্য আছেন –
উত্তর প্রদেশ: যোগীরাজ্যে এবার ৩৩টি আসন জিতেছে বিজেপি। তবে, এই রাজ্যে এনডিএ-র শরিকদল, আরএলডি, আপনা দলও জিতেছে। সব মিলিয়ে ১০ জন মন্ত্রী পেয়েছে উত্তর প্রদেশ। তাঁরা হলেন – রাজনাথ সিং, জয়ন্ত চৌধুরী, জিতিন প্রসাদ, পঙ্কজ চৌধুরী, অনুপ্রিয়া প্যাটেল, বিএল ভার্মা, এসপি সিং বাঘেল, কীর্তি বর্ধন সিং, কমলেশ পাসোয়ান এবং হরদীপ সিং পুরি। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি হরদীপ সিং পুরি। তবে তিনি রাজ্যসভার সদস্য।
বিহার: মন্ত্রীর সংখ্যায় উত্তর প্রদেশের পরই রয়েছে বিহার। বিহারে বিজেপি জিতেছে ১২ আসনে। এছাড়া, জেডি (ইউ) ১২টি, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) জিতেছে ৫টি এবং হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (সেকুলার) জিতেছে ১টি আসনে। বিহার থেকে এবার মন্ত্রী হয়েছেন ৬ জন। তাঁরা হলেন – গিরিরাজ সিং, নিত্যানন্দ রাই, সতীশ চন্দ্র দুবে, রাজ ভূষণ চৌধুরী, জিতন রাম মাঝি, রাজীব রঞ্জন সিং, চিরাগ পাসওয়ান এবং রাম নাথ ঠাকুর। রাম নাথ ঠাকুর লোকসভা ভোটে লড়েননি। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ।
মহারাষ্ট্র: এনডিএ-র প্রত্যাশিত ফল হয়নি মহারাষ্ট্রেও। বিজেপি জিতেছে ৯ আসনে, শিবসেনা ৭ আসনে আর এনসিপি মাত্র ১ আসনে। অথচ, মহারাষ্ট্রও বিহারের মতো ৬ জন মন্ত্রী পেয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে মন্ত্রী হয়েছেন – নিতিন গড়করি, পীযূষ গোয়েল, রামদাস আটওয়ালে, প্রতাপরাও যাদব, রক্ষা খাডসে এবং মুরলীধর মহল।
মধ্য প্রদেশ: মধ্য প্রদেশে এবার ২৯ আসনের ২৯টিতেই জিতেছে বিজেপি। এই রাজ্য থেকেও মন্ত্রী হয়েছেন ৬ জন। তাঁরা হলেন – এল মুরুগান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বীরেন্দ্র কুমার, শিবরাজ সিং চৌহান, সাবিত্রী ঠাকুর, দুর্গা দাস উইকে। এল মুরুগান রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মন্ত্রী হয়েছেন।
গুজরাট: গুজরাটে ১টি বাদে সব আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। মোদী-শাহর রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৫ জন – সিআর পাতিল, নিমুবেন বামহানিয়া, অমিত শাহ, মনসুখ মান্ডব্য, এবং এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর রাজ্যসভার সদস্য।
কর্নাটক: দক্ষিণী রাজ্যে গতবারের ফল ধরে রাখতে না পারলেও, ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। তাদের সঙ্গী জেডি (এস) জিতেছে ২টি আসনে। এই রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৫ জন – প্রহ্লাদ জোশী, এইচডি কুমারস্বামী, শোভা করন্দলাজে, ভি সোমান্না এবং নির্মলা সীতারামন। সীতারামন রাজ্যসভার সদস্য।
রাজস্থান: রাজস্থানে ১৪টি আসন পেয়েছে বিজেপি। মরু রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৪ জন – ভূপেন্দর যাদব, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং ভগীরথ চৌধরী।
হরিয়ানা: হরিয়ানায় ৮ থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪-এ। এই রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৩ জন – প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর, রাও ইন্দ্রজিৎ সিং এবং কৃষাণ পাল গুর্জর।
অন্ধ্র প্রদেশ: অন্ধ্রে এবার এনডিএ-র জয়জয়কার দেখা গিয়েছে। টিডিপি পেয়েছে ১৬ আসন, বিজেপি ৩টি এবং জনসেনা পার্টি ২টি। এই রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৩ জন – রামমোহন নাইডু, পেম্মসানি চন্দ্রশেখর এবং ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস ভার্মা।
ওড়িশা: ওড়িশার রং এবার বিজেডি থেকে বিজেপি হয়েছে। পূর্বের এই রাজ্য থেকে মন্ত্রী হয়েছেন ৩ জন – ধর্মেন্দ্র প্রধান, জুয়াল ওরাম এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব। অশ্বিনী বৈষ্ণব রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মন্ত্রী হয়েছেন।
অসম: অসম থেকে মন্ত্রী হয়েছেন দুজন – সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং রাজ্যসভার সদস্য পবিত্র মার্গারিটা।
ঝাড়খণ্ড: ঝাড়খণ্ডও দুজন মন্ত্রী পেয়েছে – অন্নপূর্ণা দেবী এবং সঞ্জয় শেঠ।
তেলঙ্গানা: তেলঙ্গানার দুজন মন্ত্রী – জি কিষাণ রেড্ডি এবং বান্দি সঞ্জয়।
পশ্চিমবঙ্গ: আগেই বলা হয়েছে বাংলা থেকে মন্ত্রী করা হয়েছে সুকান্ত মজুমদার এবং শান্তনু ঠাকুরকে।
কেরল: কেরলের দুই মন্ত্রী – জর্জ কুরিয়ান এবং সুরেশ গোপী।
হিমাচল প্রদেশ: হিমাচল প্রদেশ থেকে একমাত্র মন্ত্রী হয়েছেন জেপি নাড্ডা। তিনি অবশ্য গুজরাট থেকে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন।
এছাড়া, একজন করে মন্ত্রী হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর (জিতেন্দ্র সিং), গোয়া (শ্রীপদ নায়েক), উত্তরাখণ্ড (অজয় তামতা), দিল্লি (হর্ষ মালহোত্রা), অরুণাচল প্রদেশ (কিরণ রিজিজু), পঞ্জাব (রবনীত সিং বিট্টু) এবং ছত্তীসগঢ় (টোখন সাহু) থেকে।