AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sheikh Hasina: ভারতেও চাকরি করেছেন শেখ হাসিনার স্বামী, রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতেন, কে ছিলেন এই ওয়াজেদ মিঞা?

Sheikh Hasina: কর্মজীবন শুরু হয় পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের কর্মী হিসেবে। করাচির গবেষণাগারে কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে ইতালির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে যোগ দেন তিনি। তবে সেই বছরেই ঘরে ফিরে আসেন।

Sheikh Hasina: ভারতেও চাকরি করেছেন শেখ হাসিনার স্বামী, রাজনীতি থেকে দূরেই থাকতেন, কে ছিলেন এই ওয়াজেদ মিঞা?
শেখ হাসিনার স্বামী ওয়াজেদ মিঞা
| Updated on: Aug 08, 2024 | 12:09 AM
Share

বাংলাদেশ: বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে পদত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে ভারতেই রয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন হাসিনা। ইন্দিরা গান্ধীর আমলে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি দিল্লিতেই ছিলেন বেশ কয়েক বছর। সেই সময় ভারতে চাকরিও করতেন তাঁর স্বামী এম এ ওয়াজেদ মিঞা। রাজনৈতিক পরিবারের জামাই হলেও, কোনওদিনই রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি তাঁকে।

পীরগঞ্জের রংপুরের বাসিন্দা ছিলেন মহম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ মিঞা। রংপুর থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পর রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। তাঁর বড় দিদির ছেলে আব্দুল কোয়াম সরকার ছিলেন পদার্থবিদ। সেই পথেই হাঁটেন ওয়াজেদ মিঞা। পদার্থবিদ্যা নিয়েই পড়াশোনা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্নাতকোত্তরের পাঠ শেষ করে তিনি চলে যান বিদেশে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা শেষ করেন। ১৯৬৭ সালে পিএইডি ডিগ্রি পান তিনি।

কর্মজীবন শুরু হয় পাকিস্তান অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনের কর্মী হিসেবে। করাচির গবেষণাগারে কাজ করতেন তিনি। পরবর্তীতে ইতালির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সে যোগ দেন তিনি। তবে সেই বছরেই ঘরে ফিরে আসেন। করাচি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টের চিফ সায়েন্টিস্ট ছিলেন ওয়াজেদ মিঞা। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি তিনি।

বাংলাদেশে যখন মুজিবর রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করা হয়, তখন ওয়াজেদ মিঞার সঙ্গেই জার্মানিতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা। জার্মানিতে তখন পরমাণু বিজ্ঞানে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। তবে মুজিব-হত্যার পর হাসিনা ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতে তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেন। সপরিবারে হাসিনা চলে আসেন দিল্লিতে। দুই সন্তান, স্বামী ও বোনকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লিতে ছিলেন তিনি। সেই সময় ভারতে চাকরিও করতেন ওয়াজেদ মিঞা। দিল্লিতে অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন অব ইন্ডিয়ায় গবেষণার কাজ করতেন তিনি। প্রায় ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত সেখানেই কর্মরত ছিলেন। পরে বাংলাদেশে ফেরার পর বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশনে যোগ দেন। ১৯৯৯ সালে সেখানকার চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবসর নেন ওয়াজেদ মিঞা।

পদার্থবিদ্যার ওপর তাঁর লেখা একাধিক বই আছে। তবে রাজনীতিতেও ছিল তাঁর আগ্রহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখেন তিনি। শিক্ষার জন্য আন্দোলনে নেমে গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়ার পর আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না কোনওদিনই। দীর্ঘ অসুস্থতার পর ২০০৯ সালে মৃত্যু হয় তাঁর।