Gang Rape: বন্ধুর সঙ্গে বসেছিলেন লেকের ধারে, বিধবা মহিলাকে ‘গণধর্ষণ’ চার দুষ্কৃতীর, তোলা হল ভিডিয়োও
Widow Rape: জোরজবরদস্তি তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই মহিলা। সেখানেই চার দুষ্কৃতী ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা।
চেন্নাই: বন্ধুর সঙ্গে লেকের ধারে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক মহিলা। ২৯ বছরের ওই মহিলা বিধবা। সেখানে ওই মহিলা ও তাঁর সঙ্গীর উপর চড়াও হন চার জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, চড়াও হয়েই প্রবল মারধর করে। তার পর জোরজবরদস্তি তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে ওই মহিলা। সেখানেই চার দুষ্কৃতী ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা। এমনকি তাঁর গলায় থাকা সোনার হার, তাঁর সঙ্গীর মোবাইলও কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনার ভিডিয়োও এক দুষ্কৃতী করেছে বলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর নামাক্কাল জেলায়।
পুলিশে করা অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ১৯ মে ভাসানিম লেকে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর এক বন্ধু। ১২ গ্রাম ওজনের সোনার চেনও পরে ছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। লেকের ধারে বসে থাকার সময়ই চার দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরে। এবং মারধর করে তাঁকে পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁকে পালা করে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁর সঙ্গীর টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই ফোন দিয়েই গণধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো করা হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা বিধবা মহিলা। এই ঘটনার কথা কাউকে না বলার হুমকিও দেয় গণধর্ষণে অভিযুক্তরা। ঘটনার কথা সামনে এলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।
ঘটনার পর নামাক্কাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯২, ৩৭৬বি, ৫০৬ (১) এবং ৬৭ ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি আইনেও মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম নবীন কুমার (২১), দীনেশ কুমার (২১) এবং মুরলি। এরা সকলেই রঙমিস্ত্রির কাজ করে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি বাকি এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
মে মাসেই তামিলনাড়ুর চেঙ্গেপেট জেলায় একটি গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। সেখানে ৩১ বছরের এক বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এই যুবতীর বাবা-মা মজুরের কাজ করেন। ঘটনায় তিন জনকে এখনও অবধি গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা বিশেষভাবে সক্ষম ওই মহিলার গ্রামেরই বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই নির্যাতিতাকে চিনতেন অভিযুক্তরা।