AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, স্বামীকে কুচি কুচি করে কেটে সিমেন্ট ভরা ড্রামে পুরে প্রেমিকের সঙ্গে ‘হানিমুনে’ গেল স্ত্রী!

Crime: সৌরভের অবর্তমানে মুসকান সাহিল নামক এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তবে মার্চ মাসে সৌরভ বাড়ি ফিরতেই তাঁদের প্রেমে বাধা পড়ে। প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করেই গত ৪ মার্চ মুসকান কুপিয়ে খুন করে স্বামী সৌরভকে।

পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, স্বামীকে কুচি কুচি করে কেটে সিমেন্ট ভরা ড্রামে পুরে প্রেমিকের সঙ্গে 'হানিমুনে' গেল স্ত্রী!
ধৃত মুসকান ও সাহিল। ডানদিকে নিহত সৌরভ।Image Credit: X
| Updated on: Mar 19, 2025 | 1:00 PM
Share

লখনউ: নৃশংস! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল স্বামী। তাই তাঁকে কুচি কুচি করে ফেললেন স্ত্রী। দেহ লোপাটও করলেন অভিনব পদ্ধতিতে। পুলিশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও তা বের করতে পারল না। যুবতীর কাণ্ডে স্তম্ভিত এলাকাবাসী থেকে পুলিস-সকলেই।

স্বামী পেশায় মার্চেন্ট নেভি অফিসার। কর্মসূত্রে তিনি বিদেশে থাকেন। তাঁর অবর্তমানে স্ত্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। স্বামী ফিরতেই মাথায় হাত, এবার এই সম্পর্কের কী হবে? পথের কাটা সরাতে স্বামীকেই খুন করলেন স্ত্রী। সাহায্য করল প্রেমিক। তারপর তার দেহ কুচিকুচি করে কেটে ড্রামে ভরে তাতে সিমেন্ট ভরে দিলেন যাতে কেউ হদিস না পায়।

ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের মিরুটে। মৃত যুবকের নাম সৌরভ রাজপুত। তিনি কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন লন্ডনে থাকছিলেন। ২০১৬ সালে প্রেম করে তাঁর বিয়ে হয় মুসকান নামক এক যুবতীর সঙ্গে। তাঁদের ৫ বছরের মেয়েও রয়েছে।  বিগত ৩ বছর ধরে মিরুটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল তাঁরা।

সৌরভের অবর্তমানে মুসকান সাহিল নামক এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তবে মার্চ মাসে সৌরভ বাড়ি ফিরতেই তাঁদের প্রেমে বাধা পড়ে। প্রেমিকের সঙ্গে চক্রান্ত করেই গত ৪ মার্চ মুসকান কুপিয়ে খুন করে স্বামী সৌরভকে। এরপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে দুইজনে মিলে। সেই দেহ লোপাট করতে তারা একটি বড় ড্রামে টুকরোগুলি ফেলে এবং তাতে সিমেন্ট ঢেলে দেয়। দিন কয়েকের মধ্যেই সিমেন্ট জমে যায়।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও পাড়াপড়শিদের মুসকান বলেছিলেন, স্বামীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে ঘুরতে যাচ্ছেন। স্বামীর দেহ ড্রামে ভরে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে চলে যান। তবে নিজের মায়ের কাছে সত্যিটা লুকোতে পারেনি মুসকান। স্বামীকে খুনের ঘটনা খুলে বলে। মেয়ের কীর্তি শুনে তো স্তম্ভিত মা। তিনি চুপ থাকেননি। নিজেই পুলিশে গিয়ে অভিযোগ জানান। পুলিশ এসে মুসকান ও তাঁর প্রেমিক সাহিলকে জেরা করলে, দুইজনেই অপরাধ স্বীকার করে নেয়।

পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে আসে, যেখানে ড্রাম রাখা ছিল। দুই ঘণ্টা চেষ্টা করেও পুলিশ সিমেন্টের ভিতর থেকে দেহ বের করতে পারেনি। ড্রাম সুদ্ধই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা বহু চেষ্টা করে দেহ বের করে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।