মুম্বই: নির্বাচন শেষ, এবার সরকার গঠনের পালা। এনডিএ সরকারই ক্ষমতায় এসেছে তৃতীয়বার। তবে জোটসঙ্গীদের মনোভাব নিয়ে সংশয় কাটছে না। এই পরিস্থিতিতেই আবার তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা নাকি আবার হাত মেলাতে পারে এনডিএ-র সঙ্গে! তাহলে কি দুই শিবসেনা আবার মিলেমিশে এক হয়ে যাবে?
যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) শিবিরের তরফে জানানো হয়, তারা ইন্ডিয়া জোটেরই সদস্য থাকবে। এনডিএ-তে যাবে না। বৃহস্পতিবার শিবসেনা (ইউবিটি)-র নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী দাবি করেন, কিছু সাংবাদিক বলেছিলেন যে বিজেপি বিপুল জনমত পাবে লোকসভা নির্বাচনে। তা হয়নি। এখন তারা মিথ্যা কথা রটাচ্ছে যে শিবসেনা ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে এনডিএ জোটে সামিল হবে।
জনপ্রিয় মিম-‘মোয়ে মোয়ে’-র প্রসঙ্গ টেনেই প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, “মোয়ে মোয়ে, ইয়ে না হোয়ে, ইউ ক্যান রোয়ে রোয়ে”।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গেই জোটে লড়েছিল শিবসেনা। সেই সময় শিবসেনা দুই ভাগে বিভক্ত হয়নি। মহারাষ্ট্রে ৪৩টি আসন জিতেছিল এনডিএ, এর মধ্যে বিজেপি ২৩টি আসন এবং উদ্ধব ঠাকরের দল ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। পরের বছরই এনডিএ জোট ভেঙে যায়। শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি মিলে মহারাষ্ট্রে তৈরি হয় মহা বিকাশ আগাড়ি জোট।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায় শিবসেনা ও এনসিপি। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির লড়েছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে। একনাথ শিন্ডের শিবসেনা লড়েছে এনডিএ-র সঙ্গে। অন্যদিকে শরদ পওয়ারের এনসিপি লড়েছে ইন্ডিয়া জোটে, অজিত পওয়ারের এনসিপি এনডিএ জোটে।
দুই শিবসেনা ও দুই এনসিপির মধ্যে মহারাষ্ট্রের জনগণ আদি দল, অর্থাৎ উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পওয়ারের দলের উপরই আস্থা রেখেছে। যেখানে একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৭টি আসন পেয়েছে, সেখানেই উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ৯টি আসন পেয়েছে। শরদ পওয়ারের এনসিপি পেয়েছে ৮টি আসন, অজিত পওয়ারের এনসিপি সেখানে একটি মাত্র আসন পেয়েছে। সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে কংগ্রেস, ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছে তারা।