Uddhav Thackeray-Raj Thackeray: মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল, ২০ বছর পর ‘ভাব’ হচ্ছে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের? মহারাষ্ট্রে রাজনীতিতে জোর জল্পনা
Maharashtra Politics: পারিবারিক বিরোধ, রাজনৈতিক মতাদর্শে ফারাকের কারণেই ২০০৫ সালে শিবসেনা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাজ ঠাকরে। ২০ বছর পর দাদা-ভাইয়ের মিলন হতে পারে। রাজ্যের স্বার্থে এবং মারাঠি সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্যই শিবসেনা ও নবনির্মাণ সেনার নেতা এক হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

মুম্বই: ২০২৪ সাল দেখেছিল রাজনৈতিক দলের অন্দরে কোন্দল, দলে ভাঙন এবং আসল-নকল প্রমাণের লড়াই। ২০২৫ সালে এসে এবার মিলন দেখবে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি? জোর গুঞ্জন, দূরত্ব ভুলে মিলেমিশে যেতে পারে দুই ঠাকরে। দুই দশক পরে রাজ ঠাকরে এবং উদ্ধব ঠাকরে এক হয়ে যেতে পারেন।
পারিবারিক বিরোধ, রাজনৈতিক মতাদর্শে ফারাকের কারণেই ২০০৫ সালে শিবসেনা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রাজ ঠাকরে। ২০ বছর পর দাদা-ভাইয়ের মিলন হতে পারে। রাজ্যের স্বার্থে এবং মারাঠি সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্যই শিবসেনা ও নবনির্মাণ সেনার নেতা এক হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এক অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে বলেন,”উদ্ধব ও আমার মধ্যে সামান্য ঝামেলা, মতপার্থক্য রয়েছে। মহারাষ্ট্র এই সব কিছুর থেকে অনেক বড়। এই পার্থক্যের প্রভাব মহারাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও সমগ্র মারাঠি মানুষের উপরে পড়ছে। আমাদের এক হওয়াটা কঠিন নয়। এটা ইচ্ছার উপরে নির্ভর করছে, শুধু আমার ইচ্ছা বা স্বার্থ নয়। যদি রাজ্য চায় আমরা এক হয়ে যাই, তবে আমি নিজের ইগো-কে মাঝে আসতে দেব না।”
অন্যদিকে, উদ্ধব ঠাকরেও বলেছেন, “আমি সামান্য মত পার্থক্য সরাতে রাজি আছি, তবে একটা শর্ত রয়েছে। আমরা একদিন একজনকে সমর্থন, আরেকদিন অন্যজনকে সমর্থন করতে পারি না। যদি কেউ মহারাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে আমরা তাদের স্বাগত জানাব না বা বাড়িতে ডাকব না।”
যদি সত্য়িই রাজ ঠাকরে ফের শিবসেনায় ফিরে আসেন, তবে এনডিএ থেকে এক জোটসঙ্গী কমে যাবে। আসন্ন বৃহন্মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে শিবসেনা ও নবনির্মাণ সেনা একসঙ্গে লড়তে পারে।
ঠাকরে পরিবারের মিলনের জল্পনা নিয়ে শিবসেনা (ইউবিটি)র নেতা, রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন যে দুই নেতাই ব্যক্তিগত দূরত্ব সরিয়ে রেখে এক হতে আগ্রহী। বিজেপির তরফেও দুই ভাইয়ের পুনর্মিলনকে সমর্থন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস বলেছেন, “যদি ওরা (রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরে) এক হয়ে যায়, তাহলে আমরা খুশি হব। আলাদা হয়ে যাওয়া মানুষদের এক হয়ে যাওয়া উচিত। যদি তাদের ঝামেলা মিটে যায়, তবে তা ভাল বিষয়”। কংগ্রেসও জানিয়েছে, তাদের কোনও আপত্তি নেই দুই ভাই একসঙ্গে হয়ে গেলে।

