Murder Case: কাটা যৌনাঙ্গ, পাশেই পড়ে রক্তাক্ত নিথর দেহ! ৫ বার বিয়ে করা যুবকের নির্মম পরিণতি হল কীভাবে?
MP Crime News: গত ২১ ফেব্রুয়ারি এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় ও শরীরে বেশ কিছু কোপের চিহ্ন ছিল। এরপরই বিরেন্দরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মৃত যুবকের স্ত্রী এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
ভোপাল: রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয়েছিল রক্তাক্ত এক যুবকের দেহ। ওই মৃতদেহের পাশেই পড়েছিল তাঁর শরীর থেকে কেটে বাদ দেওয়া যৌনাঙ্গও (Genital)। ভোররাতে রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশে। তদন্ত শুরু করতেই মৃত যুবকের স্ত্রী অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তবে দিন কয়েক পরেই জানা গেল আসল ঘটনা। কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নয়, জানা গেল ওই যুবকের স্ত্রীই তাঁর যৌনাঙ্গ কেটে খুন (Murder) করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) সিঙ্গরাউলিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম বিরেন্দর গুর্জর। তাঁর স্ত্রী কাঞ্চন গুর্জর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে খুন করে। এরপরে দেহটি কাপড়ে জড়িয়ে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে আসে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবক পাঁচবার বিয়ে করেছিল। কাঞ্চন তাঁর পঞ্চম স্ত্রী ছিল। আগের চারজন স্ত্রীই বিরেন্দরের অত্যাচারের জন্য তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর গলায় ও শরীরে বেশ কিছু কোপের চিহ্ন ছিল। এরপরই বিরেন্দরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মৃত যুবকের স্ত্রী এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নিহত যুবকের আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের জেরা করেন। তাদের থেকে কোনও সূত্র না মেলাতেই নিহত যুবকের স্ত্রীকে জেরা করা শুরু করে পুলিশ। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে জেরার চাপে অপরাধ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত।
ধৃত কাঞ্চন জানায়, তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত ছিল। নেশা করে তাঁকে প্রায় প্রতিদিনই মারধর ও শারীরিক শোষণ করত। এই কারণেই সে স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন তাঁর স্বামীর খাবারের মধ্যে ২০টি ঘুমের ওষুধ মেশায়। স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে কুড়ুল দিয়ে প্রথমে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে এবং পরে যৌনাঙ্গ কেটে দেয়। এরপরই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। খুনের পরে স্বামীর দেহ কাপড়ে পেঁচিয়ে রাস্তার ধারে নিয়ে এসে ফেলে দেয়। প্রমাণ লোপাট করতে স্বামীর জামা ও জুতোও পুড়িয়ে দেয় সে।