স্বামী-সন্তান রয়েছে, তারপরও একের পর এক প্রেম! তিলে তিলে এভাবেই গোটা পরিবারকে মারছিল যুবতী…
Extra Marital Affair: ১১ বছর আগে হাসান জেলার বাসিন্দা গজেন্দ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় চৈত্রার। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। বিগত ৩ বছর ধরেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হত।

বেঙ্গালুরু: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কই এখন যেন নিউ নর্মাল! আর সেই সম্পর্কের টানেই স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের খুন করতেও হাত কাঁপছে না। এবার এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হল তাঁর নিজের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের খুন করার চেষ্টায়।
চৈত্রা নামক ৩৩ বছরের এক মহিলার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, তিনি খাবারে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে চাপা দিতেই তিনি এই চেষ্টা করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের হাসান জেলায়। ১১ বছর আগে হাসান জেলার বাসিন্দা গজেন্দ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় চৈত্রার। তাদের দুই সন্তানও রয়েছে। বিগত ৩ বছর ধরেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হত।
বছর খানেক আগে জানা যায়, পুনীত নামক এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন চৈত্রা। পরিবারে এই কথা জানাজানি হতেই তীব্র অশান্তি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। পরে দুই বাড়ির সদস্যরাই মিটমাট করে নিতে বলেন।
কিছুদিন থামলেও, পরে শিবু নামক আরেক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। চৈত্রার ভয় ছিল, এই সম্পর্কের কথাও স্বামী জেনে যাবেন। শিবুই বুদ্ধি দেন পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার। খুন করার বদলে তাদের পরিকল্পনা ছিল, তিলে তিলে বিষক্রিয়ায় মেরে ফেলার। সেই জন্যই প্রতিদিন খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতেন। ওষুধ জোগাড় করে দিত শিবুই। তবে পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি তাঁর কর্মকাণ্ড জেনে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেন। আজ পুলিশ চৈত্রাকে গ্রেফতার করে।





