AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নিতান্তই সাদামাটা চেহারা, বৃদ্ধ বাড়িওয়ালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বহুদিন, ভোরবেলা ঘরে ঢুকে যা করলেন…পাড়াপড়শিরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না

Crime: গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ হরিহর বাবুর ঘরে আগুন লাগে। অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন ওই মহিলা ও দুই প্রতিবেশী। 

নিতান্তই সাদামাটা চেহারা, বৃদ্ধ বাড়িওয়ালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বহুদিন, ভোরবেলা ঘরে ঢুকে যা করলেন...পাড়াপড়শিরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না
অভিযুক্ত সুদেষ্ণা দেবী।Image Credit: X
| Updated on: Jun 02, 2025 | 2:33 PM
Share

ভুবনেশ্বর: সম্পত্তির লোভে মানুষ কী কী না করে! বাড়ি মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক, তারপর তাঁকেই পথ থেকে সরিয়ে দিলেন। সম্পত্তি হাতানোর জন্য এক মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর বাড়িওয়ালার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, বছর সাতান্নর সুদেষ্ণা জানা ওড়িশার গঞ্জম জেলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। বাড়ির মালিক হরিহর সাহু (৭২)। বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের সম্পর্ক থেকেই ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে তাঁদের সম্পর্ক ছিল। হরিহর সাহু প্রাক্তন রেভেনিউ ইন্সপেক্টর। তার সম্পত্তির লোভেই সুদেষ্ণা সম্পর্ক রাখছিলেন বলে দাবি।

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ হরিহর বাবুর ঘরে আগুন লাগে। অগ্নিদ্বগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন ওই মহিলা ও দুই প্রতিবেশী।  তাঁকে প্রথমে বেরহামপুরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কটকের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই হরিহরবাবুর মৃত্যু হয়।

পুলিশি জেরায় প্রথমে সুদেষ্ণা দেবী বলেছিলেন ঘটনার সময় হরিহরবাবু নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন।  দুইজন অচেনা ব্যক্তি এসে ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই মহিলাই সম্পত্তি হাতানোর জন্য হরিহর বাবুর ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন।

জেরায় জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে যখন ওই বৃদ্ধ ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় ওই মহিলা চুপিচুপি ঘরে ঢোকেন এবং তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রমাণ লোপাট করতে যে ড্রামে করে কেরোসিন এনেছিলেন, তাও আগুনের মধ্যেই ছুড়ে দেন। বৃদ্ধের মোবাইল ফোনও ফেলে দেন।

পরে নিজেই প্রতিবেশীদের ডেকে আগুন লাগার খবর দেন এবং হরিহর বাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়ে যাান যাতে কেউ সন্দেহ না করে। হরিহর বাবুর বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন মহিলা।