Griha Laxmi Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এবার ‘গৃহলক্ষ্মী’, মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের

Griha Laxmi Scheme: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার সেই সমস্ত মহিলাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েই এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। এবার গোয়ার জন্য একই ধাঁচের প্রতিশ্রুতি ঘাসফুল শিবিরের।

Griha Laxmi Scheme: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর এবার 'গৃহলক্ষ্মী', মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2021 | 4:34 PM

গোয়া : বিধানসভা ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতির মধ্যে এটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যে স্কিমে প্রত্যেক মাসে মহিলাদের টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রকল্প কার্যকরও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়েছে। আর বাংলায় তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরই বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল, যার মধ্যে অন্যতম গোয়া। সেই গোয়াবাসীর জন্যই এবার এরকমই এক প্রতিশ্রুতি দিল তৃণমূল। ২০২২- এর বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে চালু করা হবে গৃহলক্ষী স্কিম। গোয়ার তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে। সেই প্রকল্পে মহিলারা মাসে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন।

গোয়ার জন্য যে প্রথম পাঁচ প্রতিশ্রুতি আনছে তৃণমূল, এটা তার মধ্যে অন্যতম। আপাতত তিনটি প্রতিশ্রুতির কথা জানানো হয়েছে। তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২২- এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবে তৃণমূল। গৃহলক্ষী নামে ওই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবারের মহিলাদের অ্যাকাউন্টে মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে, অর্থাৎ প্রত্যেক মহিলা বছরে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাবেন। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এই স্কিম চালু হলে উপকৃত হবে গোয়ার সাড়ে তিন লক্ষ পরিবার। আরও জানানো হয়েছে যে এই স্কিম কার্যকর করতে হলে রাজ্য সরকারের খরচ হবে ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা, যা রাজ্য বাজেটের ৬ থেকে ৮ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ও উপ নির্বাচনে তৃণমূল যে সাফল্য পেয়েছে তাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো স্কিমগুলির ওপরে তৃণমূলের আস্থা বেড়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন, গোয়ার ক্ষেত্রেও তাই সেই একই কৌশল তৃণমূল কাজে লাগাতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও তৃণমূলের এই ধরনের প্রতিশ্রুতিকে আমল দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক বলেন, ‘বিজেপি ও কংগ্রেস আসলে কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ।’ বিজেপির নেতৃত্বের গোয়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তার জেরে মানুষ আবারও বিজেপিকেই বেছে নেবে বলে মনে করেন তিনি। ত্রিপুরার উদাহরণ টেনে নিশীথ প্রামানিক উল্লেখ বলেন, ‘ত্রিপুরায় যেভাবে মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছেন, যে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন, গোয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে।

গোয়ার রাজনীতিতে বিশেষ নজর রয়েছে তৃণমূলের। সূত্রের খবর, আগামী ১৩ ডিসেম্বর গোয়া যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গোয়ায় তৃণমূল সংগঠন বিস্তার করার পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সে রাজ্যে যাচ্ছেন তিনি। গোয়ায় তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনলে কোন কোন কাজের ওপরে জোর দেওয়া হবে, তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন তিনি।

আরও পড়ুন : বসবে ২০০ টি অতিরিক্ত পাম্প, তৈরি হবে নিষ্পত্তি সেল, শহরের ‘দশ দিগন্তে’ উন্নয়নের আশ্বাস ঘাসফুলের