Jammu and Kashmir assembly election: ওমরের হাত ধরেও আসন কমল কংগ্রেসের, শক্তি বাড়ল বিজেপির, ফিরে দেখা জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিনাটি
Jammu and Kashmir assembly election: ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরেই এবার দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন হল।
কাশ্মীর: দশ বছর পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৪ সালের পর ২০২৪ সাল। মাঝে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েছে। সবমিলিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। দশ বছর পর নির্বাচনে বাজিমাত করল ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের জোট। ২০১৪ সালের চেয়ে আসন বাড়ল বিজেপিরও। আবার একা লড়ে জম্মু ও কাশ্মীরে খাতা খুলল অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। বছর শেষে ফিরে দেখা যাক জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের খুঁটিনাটি।
দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন-
২০১৪ সালে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গড়েছিল পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হন মুফতি মহম্মদ সৈয়দ। ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি মুফতি মহম্মদের মৃত্যু হয়। মাস তিনেক রাজ্যপালের শাসন জারি থাকার পর মুফতি মহম্মদের মেয়ে মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন।
এই খবরটিও পড়ুন
২০১৮ সালের জুনে বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করলে জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার পড়ে যায়। রাজ্যপালের শাসন জারি হয় সেরাজ্যে। ওই বছরের ডিসেম্বরেই সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরেই এবার দশ বছর পর বিধানসভা নির্বাচন হল।
৩ দফায় ভোটগ্রহণ-
জম্মু ও কাশ্মীরের ৯০টি বিধানসভা আসনে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হয়। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয় ১৮ সেপ্টেম্বর। দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। আর তৃতীয় দফায় ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হয়।
হাত মেলাল কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স-
কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও সিপিএম জোট বেঁধে ৯০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৫৬টি আসনে প্রার্থী দেয় ন্যাশনাল কনফারেন্স। কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৮টি আসনে। আর সিপিএম একটি আসনে প্রার্থী দেয়। ৯০টি আসনের মধ্যে ৬টি আসনে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স-দুটি দলই প্রার্থী দিয়েছিল।
বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬২টি আসনে। আর মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ৮১টি আসনে লড়াই করে।
৮ অক্টোবর ফল ঘোষণা-
৮ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের ফল ঘোষণা করা হয়। সবচেয়ে বেশি আসন পায় ন্যাশনাল কনফারেন্স। তারা পায় ৪২টি আসন। ৩৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস জেতে ৬টি আসন। ২০১৪ সালের চেয়ে কংগ্রেস ৬টি আসন কম পায়। সিপিএম একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তা জেতে।
বিজেপির আসন বাড়ল-
জম্মু ও কাশ্নীরে বিধানসভা নির্বাচনে ২৯টি আসন জিতেছে বিজেপি। যা জম্মু ও কাশ্মীরে তাদের রেকর্ড। ২০১৪ সালে ২৫টি আসন জিতেছিল তারা। তার আগে ২০০৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ১১টি আসন। ফলে বিজেপির আসন সংখ্যা ক্রমে বেড়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে।
জম্মু ও কাশ্মীরে খাতা খুলল কেজরীবালের আপ-
জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে হাত মেলায়নি অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি। তারা ৭টি আসনে প্রার্থী দেয়। তার মধ্যে ডোডা আসনে জয়ী হন আপ প্রার্থী মেহরাজ মালিক।
১৬ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ওমর আবদুল্লা। তবে নির্বাচনে সঙ্গী হলেও মন্ত্রিসভায় যোগ দেয়নি কংগ্রেস। ওমর সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন জানিয়েছে। এদিকে, ২০১৪ সালের সরকারের শরিক হলেও এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে প্রধান বিরোধী দল হল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা হয়েছে সুনীল শর্মা।