
নয়া দিল্লি: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সবাই। তবে বছর শেষে অনেকেই আবার আবেগঘন। এই বছর অনেক কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবে যেমন, তেমনই দুর্ভাগ্যেরও বছর এটা। এই বছরে একাধিক এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে, যা কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ।
১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ হয়েছিল এই বছর। কোটি কোটি মানুষের সমাগম হয়েছিল মহাকুম্ভে। সেই মহাকুম্ভেই ঘটে যায় বিপর্যয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৩৫ জনের। বেসরকারি সূত্রে দাবি, কমপক্ষে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার দুই সপ্তাহ পরেই, ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনেও পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। কুম্ভমেলায় যাওয়ার জন্য বিপুল পুণ্যার্থীর ভিড় ছিল দিল্লি রেলস্টেশনে। ভুল ঘোষণার জেরে হুড়োহুড়ি হয়, ১৪ জন মহিলা ও ৩ জন শিশু সহ মোট ১৮ জনের মৃত্যু হয়। ওই দিনই আবার প্রয়াগরাজে বাসের সঙ্গে এসইউভি গাড়ির সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্য়ু হয়। এরাও কুম্ভমেলায় যাচ্ছিলেন।
এই বছরের সবথেকে ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলা ছিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ ভ্যালিতে পর্যটকদের উপরে হামলা করে পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিরা। ধর্ম পরিচয় জেনে জেনে পর্যটকদের হত্যা করা হয়।
১ এপ্রিল গুজরাটের একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৭ জন কর্মীর মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুর রেলস্টেশনের কাছে মালগাড়ির সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। মালগাড়ির উপরে উঠে যায় ট্রেনের কামরা। কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
আইপিএলের উদযাপন এ বছর বদলে যায় বিষাদে। এই বছর প্রথম আইপিএল ট্রফি জিতেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ৪ জুন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আরসিবির বিজয় উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু অত্যাধিক ভিড়ের চাপে ১১ জনের মৃত্য়ু হয়, আহত হন ৪৭ জন।
এই বছরের সবথেকে অভিশপ্ত দুর্ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনা। ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেয় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পরই তা মেঘানিনগরে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপরে ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রীর মৃত্যুর হয়। হস্টেলের ১৯ জন পড়ুয়ারও মৃত্যু হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর করুরে জনসভা ছিল অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ বিজয়ের। প্রায় সাত ঘণ্টা দেরিতে আসেন বিজয়। অত্যাধিক ভিড়ের চাপে ও পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৪১ জনের। আহত হন অন্তত ১০০ জন।
চলতি বছরের ৯ জুলাই গুজরাটের গম্ভীরা ব্রিজ ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ২২ জনের। আহত হন অনেকে।
গত ৬ ডিসেম্বর গোয়ার বির্চ বাই রোমিও লেন নাইটক্লাবে ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন।