করোনা কড়চা: ‘মেড-ইন-ইন্ডিয়া’ ভ্যাকসিনের কার্যকরিতায় ধোঁয়াশা! কেন্দ্রের সঙ্গে মতভেদ কোভ্যাক্সিন নির্মাতার
ভারতে যে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে তা দু'বার মিউটেশনের জেরে রূপ বদলেছে নিজের।
নয়া দিল্লি: ভারতের ‘মেড-ইন-ইন্ডিয়া’ করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের তৈরি এই প্রতিষেধক সেরামের কোভিশিল্ডের সঙ্গেই অনুমোদন পেয়েছিল। তারপর থেকে কেন্দ্র বারবার বলেছে স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরী এই প্রতিষেধক। মার্চ মাসে সংসদে দাঁড়িয়েও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে জানিয়েছিলেন, ভ্যারিয়েন্টগুলির বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন কার্যকরী। কিন্তু উল্টো কথা কোভ্যাক্সিন নির্মাতার মুখে। তাদের দাবি, স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতার কোনও তথ্য এ পর্যন্ত মেলেনি।
একটি কনক্লেভে ভারত বায়োটেকের চেয়ারপার্সন কৃষ্ণ এল্লা এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরিতার তথ্য এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের হাতে আসবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন ব্রিটেন ও ব্রাজিলের স্ট্রেনকে রুখতে সক্ষম। তবে কৃষ্ণ এল্লার দাবি, ভারতে যে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ প্রকোপ বেড়েছে, তার বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের কার্যকরিতার তথ্য এখনও হাতে নেই। এ বিষয়ে তাঁর পরামর্শ, যদি কেন্দ্র ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনকে গুরুত্ব দেয়, তাহলে তার জন্য পৃথক ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ। একজন নির্মাতা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে না।
ভারতে যে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে তা দু’বার মিউটেশনের জেরে রূপ বদলেছে নিজের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এ কথা জানিয়েছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের জেরে সংক্রমণের কতাও স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল ভাইরোলজিতে জিনোম সিকোয়েন্স করে দেখা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের প্রায় ৬১ শতাংশ নমুনাতেই মিলছে ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন। এমনকি ভারত ছাড়িয়ে আরও ১০ দেশে পৌঁছেছে এই স্ট্রেন। এমতাবস্থায় স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকরিতা নিয়ে কোভ্যাক্সিন নির্মাতা ও সরকারের মধ্যে মতভেদ নিয়ে শঙ্কিত বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: ‘কেউ প্রমাণ জমা দেয়নি’, বিকাশ দুবে এনকাউন্টার মামলায় ক্লিনচিট পেল উত্তর প্রদেশ পুলিশ