Air Pollution: বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলায় তৈরি হতে পারে ২০-৪০ হাজার গ্রিন জব, দাবি বিশেষজ্ঞদের
Air Pollution: বায়ু দূষণ রোধের ক্ষেত্রে পরিবহনের পাশাপাশি এয়ারশেড ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ যে সক্রিয়তা দেখিয়েছে তাতে দেশে বায়ু দূষণ রোধের বড় পথ খুলে যেতে পারে। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
কলকাতা: বায়ুদূষণের (Air Pollution) বাড়বাড়ন্ত যেখানে চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিবেশবিদদের সেখানেই এই বায়ুদূষণের কারণে তৈরি হতে পারে নতুন কর্মসংস্থান। শুনতে খানিক অবাক লাগলেও চতুর্থ ইন্ডিয়া ক্লিন এয়ার সামিট(ICAS) চতুর্থ দিনে এক আলোচনায় IIT কানপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর এস এন ত্রিপাঠি এই দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, শুধুমাত্র বায়ু দূষণ সেক্টরে বাংলায় কুড়ি থেকে চল্লিশ হাজার গ্রিন জব (green jobs) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এস এন ত্রিপাঠি বলেন, “ভারতজুড়ে বায়ুর মান ডোমেনেই এক মিলিয়ন গ্রিন জব তৈরি হতে চলেছে। এর জন্য আইআইটি গুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আইআইটি গুলোই পারে প্রশিক্ষণ দিতে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৪০ হাজার মানুষের জন্য কাজের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তার জন্য আইআইটি খড়গপুরকে এগিয়ে এসে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করতে হবে। মূলত শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই কাজগুলি তৈরি হবে। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব যখন ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামকে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”
বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মত বায়ু দূষণ রোধের ক্ষেত্রে পরিবহনের পাশাপাশি এয়ারশেড ব্যবস্থাপনায় পশ্চিমবঙ্গ যে সক্রিয়তা দেখিয়েছে তাতে দেশে বায়ু দূষণ রোধের বড় পথ খুলে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে বাংলা। এদিকে ন্যাশনাল ক্লিয়ার প্রোগ্রামের প্রথম পর্যায়ে শেষ হতে চলেছে ২০২৪ সালে। তবে বিশেষজ্ঞদের মত, এই সময়সীমার মধ্যে না থেকে বাংলাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। এদিকে ২০১৯ সালে কলকাতা, হাওড়া, ব্যারাকপুর, হলদিয়া, দুর্গাপুর, আসানসোল এবং রানিগঞ্জের মতো সাত শহরকে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, অরণ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক National Clean Air Programme বা NCAP এর অধীনে নিয়ে আসে। এই সব শহরের বাতাসে PM2.5 এর মাত্রা ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়। বাতাসে দূষণের পরিমাণ বৃদ্ধিতে বড় ছাপ রাখে PM2.5 কণা। তবে বিশেষজ্ঞদের মত ন্যাশনাল ক্লিন এয়ার প্রোগ্রামের (NCAP) সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে NCAP 2.0 শুরু করতে হবে। তাহলেই রাজ্যে বিপুল পরিমাণ গ্রিন জব তৈরি হতে পারে।