কলকাতা: রাজ্যে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়ে দিয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (Omicron Variant)। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ছয় জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রনে আক্রান্তদের জন্য এবার শহরের সাতটি বেসরকারি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আমরি, অ্যাপোলো, বেলভিউ, উডল্যান্ডস, সিএমআরআই, চার্ণক, ফর্টিস হাসপাতাল। সরকারি হাসপাতাল হিসেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই হাসপাতালগুলির আইসোলেশন বিভাগকে (Isolation Ward in Omicron hospitals) তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম স্তরটি থাকছে কোভিড পজিটিভদের জন্য। দ্বিতীয় স্তরটি থাকছে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্ত হতে পারেন বলে। এর পাশাপাশি শেষে আরও একটি স্তর রাখা হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ডে যেখানে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের রাখা হবে।
সেই সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরটিপিসিআরে পরীক্ষার দু’টি নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীকে ছুটি দেওয়া যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বর্তমানে ওমিক্রনে যে পাঁচজন রোগী সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আমরি, ফর্টিস, মেডিকা, উডল্যান্ডস এবং বেলেঘাটা আইডিবিজিতে একজন করে ওমিক্রন আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই নদিয়ার বাসিন্দা কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক ওমিক্রনে আক্রান্ত হন। সম্প্রতি কোনও বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাসও নেই তাঁর। বিদেশ যোগ না থাকলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ রাজ্যে এই প্রথম। ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যের।
রাজ্যে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে কি না, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কলকাতার কারও কোভিড পজিটিভ হলেই আক্রান্তের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তাতেই ওমিক্রন ধরা পড়েছে ওই জুনিয়র চিকিৎসকের। আক্রান্তকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে শুক্রবার। সেখানে বলা হয়েছে ১০ রাজ্যে কেন্দ্রের ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি টিম’ যাবে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবের নাম। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছে ওমিক্রনের দাপট বেশ কয়েকটি রাজ্যে বেড়েছে। জাতীয় স্তরে টিকাকরণের যে হার, সেই তুলনায় ওই রাজ্যগুলিতে গতি অনেকটাই ধীর। উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১০ রাজ্যে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন : Tele Neuro Medicine: স্ট্রোকের রোগীকে নিয়ে আর ছুটোছুটি নয়, নয়া উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের