AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tele Neuro Medicine: স্ট্রোকের রোগীকে নিয়ে আর ছুটোছুটি নয়, নয়া উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের

Tele Neuro Medicine: কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। সেই সময়টা যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য বিশেষ পরিষেবা চালু করা হচ্ছে রাজ্যে।

Tele Neuro Medicine: স্ট্রোকের রোগীকে নিয়ে আর ছুটোছুটি নয়, নয়া উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2021 | 4:22 PM
Share

কলকাতা : স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এখন ঘরে ঘরে। বিশেষত বয়স্ক ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি থাকে। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যার থাকলে স্ট্রোক হতে পারে যে কোনও সময়ে। কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই স্ট্রোক হতে পারে মানুষের। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, তবে দেরি হয়ে গেলে ফল বেশ খারাপ হতে পারে। তাই বিপদ কমাতে নয়া প্রজেক্ট শুরু করল রাজ্য সরকার।

হাব অ্যান্ড স্পোক পদ্ধতি

হাব অ্যান্ড স্পোক পদ্ধতিতে এই চিকিৎসা পরিষেবা চালু হচ্ছে। করোনার জন্যও এই পরিষেবা শুরু হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে কোনও বড় হাসপাতালকে বলা হয় হাব আর কিছু ছোট হাসপাতালকে বলা হয় স্পোক। স্ট্রোকের জন্য বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সকে বলা হচ্ছে হাব আর সাতটি হাসপাতালকে স্পোক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কী ভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে?

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেরি হওয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে প্রথম ৪ ঘণ্টা হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা নকরানো জরুরি। তবে অনেক সময় দেখা যায়, রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিিকৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়। অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার পথে বিপদ হতে পারে। তাই, যেখানে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানেই যাতে চিকিৎসা হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা।

ওই সাতটি হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসায় অসুবিধা হলে তারা রোগীকে  অন্য হাসপাতালে রেফার না করে বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে যোগাযোগ করবে। সেখানকার চিকিৎসকেরা ভার্চুয়ালি স্ক্যানের রিপোর্ট দেখে কী করা উচিৎ, সেই পরামর্শ দেবে। কী ভাবে এই কাজ করতে হবে, তা বোঝাতে ওই সাতটি হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হবে।

পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে, রাজ্যের অন্য হাসপাতালেও চালু হবে এই পরিষেবা। এর ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

কী বলছেন চিকিৎসক?

বিশিষ্ট চিকিৎসক বিমানকান্তি রায় জানান, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, এটা খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। দেরি না হলে বিপদ থেকে বাঁচানো যেতে পারে। এর ফলে মানুষের মৃত্যুর হার কমানো যেতে পারে।

আরও পড়ুন : West Bengal Municipal Election 2021: হাওড়াকে বাদ দিয়েই চার পুরনিগমে ভোট ঘোষণা কমিশনের, ২৫ জানুয়ারি ফল