Sexual abuse: শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার নাবালিকা, আঁকা শেখানোর নামে ছাত্রীর সঙ্গে যা করলেন শুনলে শিউরে উঠবেন

Sexual abuse: বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরতেই মায়ের কাছে কাঁদতে কাঁদতে সব ঘটনা খুলে বলে আট বছরের ওই নাবালিকা। তখনই জানায়, আঁকার ক্লাস নিতে নিতে আচমকা পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে উলঙ্গ করে নির্যাতন চালায় ওই শিক্ষক।

Sexual abuse: শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার নাবালিকা, আঁকা শেখানোর নামে ছাত্রীর সঙ্গে যা করলেন শুনলে শিউরে উঠবেন
ছবি - আঁকতে গিয়ে শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার নাবালিকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 09, 2022 | 11:57 PM

বেহালা: নারী নির্যাতনের ঘটনায় প্রায়শই গোটা দেশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাংলা। সেই সঙ্গে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যেন কিছুতেই কমছে না রাজ্য়ে। এমতাবস্থায় এবার অঙ্কন শিক্ষকের যৌন লালসার (sexual lust) শিকার হল আট বছরের নাবালিকা। বাইরে তখন এক অঝোরে ঝরছে বৃষ্টি। তখনই বাড়িতে ক্লাস নিচ্ছিলেন আঁকার শিক্ষক। এদিকে বাইরে দুর্যোগ দেখে আগেই মেয়েকে শিক্ষকের বাড়ি থেকে আনতে এসেছিলেন বাবা। কিন্তু, দীর্ঘক্ষন ডাকা সত্ত্বেও শিক্ষক দরজা খুলছিলোনা ,মেয়েটির বাবা উঁকি মেরে দেখে সবাই ঘরে আকছে কিন্তু তার মেয়ে ঘরে নেই। তারপর প্রায় ১৫ মিনিট পর শিগেট খুলে বের হয় শিক্ষক। শিক্ষকের সঙ্গেই বাড়ির বাইরে আসে মেয়ে। যদিও তখনও বোঝা যায়নি আসল ঘটনা। মুখ ভার ছিল ছোট্ট শিশু কন্যাটির।

পরবর্তীতে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরতেই মায়ের কাছে কাঁদতে কাঁদতে সব ঘটনা খুলে বলে আট বছরের ওই নাবালিকা। তখনই জানায়, আঁকার ক্লাস নিতে নিতে আচমকা পাশের ঘরে নিয়ে গিয়ে তাকে উলঙ্গ করে নির্যাতন চালায় ওই শিক্ষক। ঘটনার কথা শুনে থ হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। এরপরই স্থানীয়রা চড়াও হয় অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে। ব্যাপক মারধর করা হয় অভিযুক্তকে। ভাঙচুরও করা হয় তাঁর বাড়িতে। তবে চাপের মুখে পড়ে নিজের অপকর্মের কথা স্বীকারও করে নেন ওই শিক্ষক। ক্ষমাও চান। তবে মারমুখী জনতার হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার (Behala) পর্ণশ্রী গভমেন্ট কলোনি এলাকায়। খবর পেয়ে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকেই এলাকায় আঁকা শেখান ওই শিক্ষক। অনেক বাচ্চারাই তাঁর কাছে আঁকা শিখতে যায়। কিন্তু, অতীতে সে আরও কারও সঙ্গে এরকম ঘৃণ্য কাজ করেছে কিনা তা ভেবেই শিউরে উঠছেন অনেকে। এদিকে অনেক সময়েই দেখা যায় নির্যাতিত হওয়ার পরেও ভয়ে মুখ খুলতে পারে না শিশুরা। এমনকী পারিবারের সদস্যরাও অনেক সময় লোক লজ্জার ভয়ে চেপে যান অনেক ঘটনা। সেখানে শিক্ষকরাই যদিও এ ধরনের ঘটনা ঘটনা তা যে গোটা সমাজকেই নাড়িয়ে দেয় তা মানছেন সকলে।