AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dacoity in Dum Dum: ওরা নজর রাখছে সর্বক্ষণ, টার্গেট একাকী বয়স্করা! শহরে শুরু দুষ্কৃতীদের ‘গোপন অপারেশন’, সাফ হচ্ছে একের পর এক বাড়ি

Dacoity in Dum Dum: পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে রাত ২.০৬ নাগাদ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বাড়িতে হানা দেয় তারা। বেরোয় ৪টে বেজে ৫৬ মিনিট নাগাদ। মোট ৩ ঘণ্টা ধরে চলে লুঠপাট।

Dacoity in Dum Dum: ওরা নজর রাখছে সর্বক্ষণ, টার্গেট একাকী বয়স্করা! শহরে শুরু দুষ্কৃতীদের 'গোপন অপারেশন', সাফ হচ্ছে একের পর এক বাড়ি
আক্রান্ত বৃদ্ধাImage Credit: ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Feb 17, 2025 | 5:00 PM
Share

কলকাতা: শহরে এখন দুষ্কৃতীদের ‘গোপন অপারেশন’। ওরা নজর রেখেছে সবার উপর। নজর রাখছে আপনার উপরেও। সময় সুযোগ পেলেই দিচ্ছে হানা। শহর তথা শহরতলিতে টার্গেট একাকী বৃদ্ধরা। প্রথমে বিডনস্ট্রিট। এরপর দমদম।

রবিবার রাতে দমদম পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড নলতা স্কুল বাড়ি রোডে ঘটল দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। সেই বাড়ির নীচতলায় থাকতেন ভাড়াটিয়ারা। উপরতলায় থাকতেন ৭০ বছরের দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। ওই কুটিরেই তাদের জীবন।

বৃদ্ধের বয়স ৭৫ বছর। নাম শংকর মজুমদার। শরীর প্যারালাইজড হয়ে যাওয়ায় আট বছর ধরে বিছানাতেই শয্যাশায়ী তিনি। গোটা বাড়ি সামলানোর দায়িত্ব তাই ৭০ বছরের স্ত্রী পুতুল মজুমদারের কাঁধে। বয়স হওয়ায় নিজেদের ছোট কুটিরেই একাকী থাকতেন। বুঝে উঠতে পারেননি যে তাদের একাকীত্বের সুযোগ নেবে এক দল দুষ্কৃতী। সাফ করে দিয়ে চলে যাবে গোটা বাড়ি।

তাদের অভিযোগ, গয়না, টাকা-কড়ি কিছুই বাদ রাখেনি ডাকাত দল। জানলা ভেঙে ঢুকে সব নিয়ে চলে গিয়েছে তারা। ভেঙেছে আলমারি। বলে গিয়েছে, বাড়াবাড়ি করলে প্রাণনাশও করে দিতে পারে তারা। তারা এতটা ‘দুর্বৃত্তশালী’

রবিবার রাত দু’টো নাগাদ বাড়ির নীচতলার জানলার গ্রিল ভেঙে সেই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বাড়িতে হানা দেয় ছয় থেকে সাত জন দুষ্কৃতী। ওই সময় একতলা ভাড়া ঘর ফাঁকা থাকায় সেটির সুযোগ নেয় তারা। চুপিসারে ঘরে বৃদ্ধার মুখ চেপে ধরে তারা। দেয় প্রাণনাশের হুমকি। তারপর চলে লুঠপাট।

পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে উঠে এসেছে রাত ২.০৬ নাগাদ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার বাড়িতে হানা দেয় তারা। বেরোয় ৪টে বেজে ৫৬ মিনিট নাগাদ। মোট ৩ ঘণ্টা ধরে চলে লুঠপাট। এই প্রসঙ্গে বৃদ্ধা পুতুল মজুমদার জানান, ‘ওরা এসে মুখ চেপে ধরে। হাতে বড় বড় অস্ত্র ছিল। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল। টাকা-পয়সা, গয়নাপত্র সব নিয়ে চলে গিয়েছে। বাইরেও ওদের জন্য অনেকে অপেক্ষা করছিল।’

ইতিমধ্য়ে এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছেন বিরোধী শিবির। প্রশ্ন উঠছে, বিমানবন্দরের পাশে শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্রে কীভাবে বেড়ে উঠছে দুবৃত্তরাজ। পাশাপাশি, যখন সেই সাত দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে চম্পট দিল, সেই সময় কেন চলছিল না কোনও নাকা চেকিং?