কলকাতা: যে কারখানায় কাজ করতেন, সেই কারখানারই ছাদ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো দেহ (Unnatural Death)। বুধবার রাতে সিঁথির একটি সোনার গয়না তৈরির কারখানার ছাদে কংক্রিটের পিলার থেকে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই কারিগরের। মৃত্যুর কারণ ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক খোকন পাত্র (৩৫) হুগলির বাসিন্দা। পেশায় সোনার গয়না তৈরির কারিগর। সিঁথি থানা এলাকার গোপাল চন্দ্র বোস লেনে একটি অলংকার তৈরির কারখানায় কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকেই মহালয়ার সন্ধ্যায় দেহটি উদ্ধার হয়। গলায় গামছার ফাঁস, দুই পায়ের হাঁটু মোড়া, কানে সাদা রঙের ইয়ারফোন লাগানো অবস্থায় দেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই ইয়ার ফোন এবং তাঁর সঙ্গে থাকা মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে।
খোকনের সহকর্মীদের বক্তব্য, খোকন পাত্র বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী রয়েছে। দিন কয়েক আগে খোকন সিঁথির গোপাল চন্দ্র বোস লেনের ওই কারখানায় কাজের জন্য আসেন। বুধবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পরিমাণে মদ খেয়ে ছিলেন বলেও দাবি খোকনের সহকর্মীদের। বুধবার রাত তখন প্রায় সাড়ে ন’টা বাজে। একতলা কারখানার ফাঁকা ছাদে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যেহেতু কানে ইয়ারফোনটি লাগানো ছিল, তাঁর সহকর্মীদের ধারণা কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অনুমান সহকর্মীদের।
যদিও মৃত খোকনের ঝুলন্ত দেহের ধরন ও ফাঁস লাগানো পিলারের উচ্চতা দেখে রহস্যজনক ঘটনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে এই ঘটনা কি নিছকই আত্মহত্যা নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে সিঁথি থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Malaria Vaccine: ঐতিহাসিক! বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্য়াকসিনে ছাড়পত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার