Malaria Vaccine: ঐতিহাসিক! বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্য়াকসিনে ছাড়পত্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
WHO: বুধবার শিশুদের জন্য RTS,S/AS01 malaria vaccine -এ ব্যবহারে অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বিজ্ঞান, শিশু-স্বাস্থ্য এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী হিসাবে মন্তব্য করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, ম্যালেরিয়া (Malaria), শতকের পর শতক ধরে আমাদের সঙ্গে রয়েছে, এবং ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনের স্বপ্ন দীর্ঘ স্থায়ী হলেও অসাধ্য ছিল না।
বিশ্ব: অবশেষে ম্যালেরিয়ার (Malaria) ভ্যাকসিন (Vaccine) চলে এল! বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সরকারি ভাবে ছাড়পত্র দিল শিশুদের জন্য আরটিএস, এস/এএস০১ ভ্যাকসিনে (RTS,S/AS01 malaria vaccine)। যা মশাবাহিত রোগের বিরুদ্ধে প্রথম ভ্যাকসিন হিসাবে নজির সৃষ্টি করল।
বুধবার শিশুদের জন্য RTS,S/AS01 malaria vaccine -এ ব্যবহারে অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বিজ্ঞান, শিশু-স্বাস্থ্য এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী হিসাবে মন্তব্য করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, ম্যালেরিয়া (Malaria), শতকের পর শতক ধরে আমাদের সঙ্গে রয়েছে, এবং ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনের স্বপ্ন দীর্ঘ স্থায়ী হলেও অসাধ্য ছিল না।
"#Malaria has been with us for millennia, and the dream of a malaria vaccine has been a long-held but unattainable dream.
Today, the RTS,S malaria vaccine – more than 30 years in the making – changes the course of public health history"-@DrTedros #EndMalaria
— World Health Organization (WHO) (@WHO) October 6, 2021
টুইটে আরও লেখা হয়েছে, আজ আরটিএস ম্য়ালেরিয়া ভ্যাকসিন ৩০ বছরের বেশি চেষ্টায় জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করল। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, “আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া ভ্যাকসিনের ব্যাপক ব্যবহারের সুপারিশ করল।” একে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ম্যালেরিয়া মশাবাহিত এই অসুখে প্রতি বছর গড়ে ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। অ্যানোফিলিস প্রজাতির স্ত্রী মশাই এই ম্যালেরিয়া রোগের বাহক। অ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া সৃষ্টিকারী পরজীবী প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন রিপোর্ট বলে পৃথিবীতে প্রায় দু’কোটি মানুষের শরীরে প্রতি বছর এই পরজীবীর সংক্রমণ হয়। আর প্রতি বছর প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে এই ম্যালেরিয়ার প্রভাবে। দশকের পর দশক গবেষণা চলেছে এই রোগের ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের। অবশেষে মিলল সাফল্য। শিশুদের জন্য RTS,S/AS01 malaria vaccine -এ ব্যবহারে অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের জন্য ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধকের নাম এখন ‘মস্কুইরিক্স’ হলেও বিজ্ঞানীদের কাছে এই প্রতিষেধক ‘আরটিএস,এস’ নামে পরিচিত। গত তিন দশক ধরে বিজ্ঞানীরা আরটিএস, এস-কে আরও বেশি শক্তি করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এবার মিলল স্বস্তির খবর।
বিশ্বে বছরে ম্যালেরিয়ায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যান। তার মধ্যে শিশুমৃত্যুর সংখ্যাটা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। বিভিন্ন রিপোর্টে জানা যায়, আফ্রিকার অনুর্ধ্ব পাঁচ বছরের শিশু ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এমন শিশুদের ম্যালেরিয়ার মতো মারণ রোগ থেকে বাঁচাতেই মসকুইরিক্স প্রতিষেধকটি বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে। ৫ থেকে ১৭ মাসের শিশুদের উপরে এই প্রতিষেধক ব্যবহার করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ঘানা, কেনিয়া এবং মালাউইয়ের মতো দেশে পরীক্ষামূলকভাবে যে কর্মসূচি চলছিল, তার ফলাফল পর্যবেক্ষণের পর আরটিএস,এস/এএস০১ টিকা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৯৮৭ সালে প্রথম তৈরি করেছিল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জিএসকে।
আরও পড়ুন: Taliban : ‘দশম শতাব্দীর মুজাহিদ’, সোমনাথ মন্দির ধ্বংসকারী প্রশংসা হক্কানি নেতার গলায়