Abhishek Banerjee: চাকরি বাতিল নিয়ে মুখ খুললেন অভিষেক, যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক?
Abhishek Banerjee: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করি, মর্যাদা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, এখনও বিচারব্যবস্থা মাথানত করেনি। বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ। কিন্তু, কোনও রায় আমার যদি পছন্দ না হয়, তাহলে সেই রায়ের সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক ভারতীয়কে সংবিধান দিয়েছে।"

সোদপুর: যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণ করা যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করেন জানিয়ে তিনি বলেন, “কিছু অযোগ্যর জন্য আপনি প্রায় ১৬-১৭ হাজার জন যোগ্যের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন না।”
শনিবার সোদপুরে একটি হাসপাতালের উদ্বোধনে এসেছিলেন অভিষেক। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসএসসি-র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। প্রথমেই কেন্দ্রকে আবাস যোজনা ও একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার জন্য আক্রমণ করেন। তারপরই তোলেন এসএসসি-র রায়ের প্রসঙ্গত।
অভিষেক বলেন, “গরিব মানুষের একশো দিনের টাকা আটকেছে। আবাস যোজনার টাকা আটকেছে। এখানে রাজনৈতিক বক্তব্য বলা ঠিক নয়। কিন্তু, এই যে এসএসসি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়। আমরা সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করি, মর্যাদা জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, এখনও বিচারব্যবস্থা মাথানত করেনি। বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ। কিন্তু, কোনও রায় আমার যদি পছন্দ না হয়, তাহলে সেই রায়ের সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক ভারতীয়কে সংবিধান দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে কোথাও যেন আমার মনে হচ্ছে, ভারতীয় জনতা পার্টির যে বৈমাতৃসুলভ আচরণ ও বাংলার মানুষের প্রতি ধারাবাহিক বৈমাতৃসুলভ আচরণ ও মানসিকতা, তার প্রতিফলন আমরা দেখতে পেয়েছি।”
এই খবরটিও পড়ুন




এরপরই তিনি বলেন, “আমি কেন বলছি? আপনি দেখুন, প্রায় ৫৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডার। ১০-১৫ জন ভুল করেছে। ৬০ লক্ষ লোকের টাকা বন্ধ। অন্যদিকে বাড়ির ক্ষেত্রে কোথাও থেকে অভিযোগ এলে সরকার তদন্ত করেছে। ব্যবস্থা নিয়েছে। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নিই ১০০ জন কিংবা ১০০০ জন ভুল করে থাকে, তার শাস্তি এক হাজার জনকেই দিতে হবে। ওই এক হাজার জনের জন্য আপনি ১৭ লক্ষ লোকের বাড়ির টাকা আটকে রাখতে পারেন না।”
এসএসসি মামলায় অযোগ্যদের নিয়ে তিনি বলেন, “যদি অযোগ্য কেউ চাকরি পেয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক, তার বিরুদ্ধে তদন্ত হোক, তাকে শ্রীঘরে পাঠান, তার চাকরি যাক, তাকে টাকা ফেরত দেওয়া করান। যারা ভুল করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কেউ তো বারণ করছে না। কিন্তু, কিছু অযোগ্যর জন্য আপনি প্রায় ১৬-১৭ হাজার জন যোগ্যের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন না। আমি এখানে বিজেপির ধারাবাহিকতা দেখছি। একজন ভুল করেছে, পুরোটা বাতিল করে দাও।”





