AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra on Dilip’s Wedding: ‘আপনি বেশি লাঠি ঘোরাবেন না, বৌদি ভয় পেয়ে যাবেন!’ ‘বিবাহিত’ দিলীপকে পরামর্শ মদনের

Madan Mitra on Dilip’s Wedding: একুশ তারিখে যাতে ‘বৌদিকে’ নিয়ে দিলীপ কেকেআরের খেলা দেখতে ইডেনে আসেন সেই অনুরোধও করলেন মদন। একমুখ হাসিমুখ নিয়ে বললেন, “এই বিয়েটা বিজেপিতে একটা সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে।”

Madan Mitra on Dilip’s Wedding: ‘আপনি বেশি লাঠি ঘোরাবেন না, বৌদি ভয় পেয়ে যাবেন!’ ‘বিবাহিত’ দিলীপকে পরামর্শ মদনের
দিলীপ ঘোষ Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 18, 2025 | 7:48 PM
Share

কলকাতা: আরতি মুখোপাধ্যায় থেকে মান্না দে, দিলীপ ঘোষকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কতরকমই গান ধরলেন মদন মিত্র। টেনে আনলেন রবি ঠাকুরকেও। কাটলেন ছড়া। মদনের সাফ কথা, “একটু লেট হল। তবে চিন্তা করবেন না! একটু বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ের মাধুর্য আলাদা হয়।” একুশ তারিখে যাতে ‘বৌদিকে’ নিয়ে দিলীপ কেকেআরের খেলা দেখতে ইডেনে আসেন সেই অনুরোধও করলেন। একমুখ হাসিমুখ নিয়ে বললেন, “এই বিয়েটা বিজেপিতে একটা সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে।”  

এদিন টিভি৯ বাংলার এক্সক্লুসিভি সাক্ষাৎকারে দিলীপ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে গানে গানেই এক্কেবারে প্রেমের দোলা লাগালেন ‘কালারফুল’ মদন। হাসতে হাসতেই বললেন, “বহু জায়গায় বাচ্চা ছেলেমেয়েরা স্লোগান দিচ্ছে, গান গাইছে। চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেজে, কদমতলায় কে/ বাড়িতে আছে হুলো বেড়াল, কোমর বেঁধেছে/ সবাই মিলে আয়রে তোরা আজ আমাদের দিলীপ বাবুর বিয়ে!” তারপরই দিলীপের উদ্দেশ্যে তাঁর পরামর্শ, “একটু বয়সে বিয়ে করলে সেই বিয়ের মাধুর্য আলাদা হয়। কারণ অল্প বয়সে বিয়ের গুরুত্ব অতটা বোঝা যায় না। বড় বয়সে বিয়ে করলে দায়িত্ববোধ অনেক বেশি আসে।” 

‘আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে- কি হয় কি হয়!’ 

বেশ রসিয়েই মদন বললেন, “ওনার স্ত্রী বলছিলেন একুশে পরিচয়, পঁচিশে পরিণয়। এটা শুনে একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল। বলেই ধরলেন আরতি মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত গান… এক বৈশাখে দেখা হল দু’জনার- জষ্ঠীতে হল পরিচয়। আসছে আষাঢ় মাস, মন তাই ভাবছে- কি হয় কি হয়! কিন্তু আষাঢ় তো এখনও আসেনি তাই দিলীপবাবুর মনের মধ্যে একটা কবিতাই বাজছে।” বলেই শোনালেন রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত কবিতা। মদনের মুখে তখন, ‘প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস– তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।’ সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, “যদিও দিলীপবাবু বলছেন তিনি তাঁর স্ত্রীর চোখে সর্বনাশ সেই ভাবে দেখেননি। ওনার স্ত্রী ওনাকে এসে প্রপোজ করেছেন। ব্যাপরটা খানিক…” বলেই ফের ধরলেন মান্নাদের সেই বিখ্যাত গান, “কে প্রথম কাছে এসেছি? কে প্রথম চেয়ে দেখেছি? কিছুতেই পাই না ভেবে কে প্রথম ভালবেসেছি? তুমি,না আমি?”  

‘লাঠি ঘোরানো দেখলে ম্যাডাম ভয় পেয়ে যাবেন’ 

তবে বিবাহিত দিলীপকে পরমার্শের বন্যার মধ্যে মদন ‘অ্যাডভাইজ’ দিলেন নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই। হাসতে হাসতেই বললেন, “আর আপনি লাঠি বেশি ঘোরাবেন না। এখন যেভাবে আপনি লাঠি ঘোরান সেটা দেখলে ম্যাডাম ভয় পেয়ে যাবেন। এখন লাঠি ঘোরানো বন্ধ করে বৌদিকে ঘোরান। কাশ্মীরে নয়, শিলিংয়েও নয়। আন্দামান কী রাঁচিতেও নয়। সব জায়গা ঘোরান। ইস্তানবুল থেকে জাপান, সব ঘোরান। ভাল ভাল রান্না খাওয়ান।” একদম শেষে আবার টানলেন শুভেন্দর প্রসঙ্গও। খানিক কৌতূহলের সঙ্গেই বললেন, “আমি জানি না দিলীপ বাবুর বিয়ে দেখে শুভেন্দুর মনে কী কোথাও বাজনা বাজছে! ওর মনে কী হচ্ছে জানি না। কারণ দেখলাম সবাই গিয়েছে, শুভেন্দু যায়নি।”