
কলকাতা: আচমকাই আজ, কলকাতা হাইকোর্টে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১ টা নাগাদ হঠাৎই তিনি আদালত চত্বরে যান। কেন তিনি হাইকোর্টে গেলেন, তা নিয়ে জল্পনা চলতে থাকে। পরে আদালত সূত্রে জানা যায়, ডায়মন্ড হারবারে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের ইলেকশন পিটিশনের পাল্টা হলফনামা জমা দিতে চলেছেন অভিষেক। তার আগে নথিতে সই করতে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের পর ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী ফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সেই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। ওই মামলায় নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য আগেই সময় চেয়েছিলেন অভিষেকের আইনজীবী।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারে প্রায় ৭ লক্ষ ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন অভিষেক। ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট পেয়েছিলেন তিনি, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অভিজিৎ দাস পান ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। তিনি অভিযোগ করেন, “ভোটের নামে ডায়মন্ড হারবারে প্রহসন হয়েছে।” সাম্প্রতিককালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুটি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
কিছুদিন আগেই বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে বিস্ফোরক এই একই অভিযোগ তুলেছিলেন। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযোগ করেছিলেন, ডায়মন্ডহারবারে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে। এরপরই অবশ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি পেনড্রাইভে তথ্য নিয়ে অনুরাগ ঠাকুরের বাড়িতে পৌঁছন। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আবার যখন শুভেন্দু অধিকারী একই ইস্যুতে সোচ্চার হন। যদিও অনুরাগ ঠাকুরের এহেন অভিযোগের দুদিনের মধ্যেই অভিষেকের প্রতিনিধি দল পেন ড্রাইভে সমস্ত তথ্য সম্বলিত ভিডিয়ো ডেটা দিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি তৃণমূলের। বছর খানেক পেরিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এই বিষয়টি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।