Gold Smuggling : দেখেই সন্দেহ হয়েছিল, তল্লাশি চালাতেই কলকাতা বিমানবন্দরে এক ব্যক্তির অন্তর্বাস থেকে উদ্ধার প্রায় ৩ কোটির সোনা
Gold Smuggling : পাচারের উদ্দেশ্যেই এই সোনা আনা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান শুল্ক দফতরের।
কলকাতা : সবে সকাল। ঘুম ভাঙতে শুরু করেছে তিলোত্তমার। কুয়াশা কেটে দেখা দিচ্ছে রোদের ঝিলিক। আর ঠিক সেই সময়েই সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ আরও একাধিক বিমানের মতোই কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) নেমেছিল দুবাই থেকে আসা বিমান ইকে৫৭০। কত বিমানই তো রোজ নামে বিমানবন্দরে। কিন্তু, কেন খবর এল দুবাই থেকে আসা এই বিমানটি? কারণ, নাটক তখনও বাকি। এই বিমানেই ছিলেন বিক্রম মিনা নামে এক যাত্রী। কলকাতা বিমানবন্দরে নামতেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে পড়েন তিনি। সূত্রের খবর, বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। তাঁর গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় সেখানে থাকা শুল্ক দফতরের অফিসারদের। আলাদা করে ডেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
যদিও তখনও সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু, তল্লাশি শুরু হতেই চোখ কাপালে উঠে যায় কাস্টমসের অফিসারদের। তাঁর প্যান্ট, অন্তর্বাস, মোজার মধ্যে থেকে বের হতে শুরু করে সোনার পেস্ট। বেল্টের মধ্যেও কায়দা করে লাগানো ছিল এই পেস্ট। উদ্ধার হয় ৪ কেজি ৯১৮ কেজি সোনা। যার বাজারদর ২ কোটি ৭৯ লক্ষ ৪০ হাজার ৭৩৯ টাকা। এদিকে বর্তমানে গোটা দেশেই সোনার দাম বেশ বেশি। সেখানে এই বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধারে স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বিমানবন্দর চত্বরে।
পাচারের উদ্দেশ্যেই এই সোনা আনা হচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান শুল্ক দফতরের। লুকিয়ে আনার সুবিধার জন্য পেস্ট করে তা পাচারের ছক কষা হচ্ছিল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ধৃত ব্যক্তি কোন পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত তা জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা। তবে কলকাতা বিমানবন্দরে এই প্রথম সোনার পেস্ট সমেত কেউ ধরা পড়লেন এমনটা নয়। জানুয়ারি মাসের শেষেও অন্তর্বাসের মধ্যে সোনার পেস্ট লুকিয়ে পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে জামা-কাপড়ে তল্লাশি চালানোর সময় উদ্ধার হয় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার সোনার পেস্ট।