
কলকাতা: এসআইআর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বুথ লেভেল অফিসাররা(BLO)। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া ও সংগ্রহ করার দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। এই বিএলও-দের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। এবার বিএলও-দের কড়া বার্তা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। মৃত, ভুয়ো ও অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম তালিকায় এলে সংশ্লিষ্ট বিএলও-দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। সোমবার রাজ্যের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ কুমার আগরওয়ালের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে এই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
বাংলায় এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই বিএলও-দের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। এদিনও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ তোলেন, বিএলও-দের একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ফর্ম দিচ্ছেন না। বিহারের বেশ কয়েকজন বিএলও জেলে রয়েছেন জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ওই সমস্ত বিএলও-দের বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানাবেন। বলেন, “যদি কোনও গরমিল প্রমাণিত হয়, তবে চাকরি যাবে। জেলেও যাবে।”
আর এদিন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “মৃত, অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত, ভুয়ো ভোটারের নাম কোনওভাবে এলে আত্মীয় কিংবা যিনি সই করেছেন, তাঁর দায়িত্ব বলেই ধরা হবে। বিএলও যেহেতু ভেরিফায়েড বলে সই করবেন, সেক্ষেত্রে তিনিও দায়ী। এসআইআরের পর তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করবে কমিশন।” এদিকে, রাসবিহারী কেন্দ্রের এক বিএলও-কে শোকজ করা হয়েছে এদিন। অভিযোগ, তৃণমূলের বিএলএ-র দোকানে বসে এনুমারেশন ফর্ম বিলি ও সংগ্রহের কাজ করছিলেন তিনি।
এদিন কমিশন আরও জানিয়েছে, অ্যাপ দিয়ে ফোটো স্ক্যান করা হবে। তাতে কেউ আদৌ ভুয়ো ছবি ব্যবহার করছেন কি না, তা বুঝতে পারবে কমিশন। ছবি স্ক্যানে না এলে বিএলও ফের ভোটারের বাড়িতে যাবেন। এবং ফের স্ক্যান করে ছবি নেবেন। ৯ ডিসেম্বরের (খসড়া তালিকা প্রকাশের দিন) পরও বিএলও ছবি নিতে পারবেন। ইতিমধ্যে ৮০ লক্ষ ভোটারের ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়ে গিয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।