Kaushik Sen: ‘তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত জানার দরকার নেই, সরকার চাইলে নিয়োগ সম্ভব’, সপরিবারে ধরনা মঞ্চে কৌশিক

Kaushik Sen: ধরনা মঞ্চ থেকে ঘুরিয়ে সরকারকে বিঁধলেন কৌশিক সেন। দ্রুত নিয়োগের দাবিও তোলেন।

Kaushik Sen: ‘তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত জানার দরকার নেই, সরকার চাইলে নিয়োগ সম্ভব’, সপরিবারে ধরনা মঞ্চে কৌশিক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 7:26 PM

কলকাতা: দুর্গাপুজোও কেটেছে ধরনা মঞ্চে, লক্ষ্মীপুজোও কাটল একই জায়গায়। মাতঙ্গিনী হাজারার মূর্তির কয়েকদিন পরই ৬০০ দিনে পড়বে চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ। লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) দিন সেখানেই অভিনব প্রতিবাদে সামিলও হলেন তাঁরা। এক চাকরিপ্রার্থীকে দেখা গেল লক্ষ্মী সেজে ধরনা মঞ্চে বসতে। সঙ্গে আরও এক চাকরি প্রার্থী সাজলেন পুরোহিত। পিছনে পোস্টার হাতে বসে অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীরা। যাতে লেখা, ‘এসো মা লক্ষ্মী বসো আমাদের ধর্নামঞ্চে’। কলকাতার এই ছবিই এদিন রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এদিকে এদিন সস্ত্রীক ধরনা মঞ্চে যেতে দেখা গেল অভিনেতা কৌশিক সেনকে (Kaushik Sen)। সঙ্গে ছিলেন পুত্র রিদ্ধি সেন ও তাঁর বান্ধবী সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেন।

এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে ঘুরিয়ে সরকারকে বিঁধলেন কৌশিক সেন। কেন নিয়োগ হচ্ছে না সেই প্রশ্নও তোলেন। বলেন, “আমরা পরিবারগতভাবেই ঠিক করেছিলাম গতকালের কার্নিভালে যোগদান করব না। আজকে এখানে আসব সেটা আগেই ঠিক করেছিলাম। আমাদের বক্তব্য রাজনীতির জায়গায় থাকুক। তৃণমূল কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত, আগের জমানা ভাল ছিল না খারাপ ছিল, বিজেপি যে রাজ্যগুলিতে শাসন করে সেখানে দুর্নীতি আরও বেশি হয় কি না, আমার জানার দরকার নেই। আমার মত যাঁরা যোগ্য মানুষ তাঁর যোগ্য নম্বর নিয়ে বসে আছে। তাঁরা নিয়োগটা পাক। তৃণমূলের সরকারে থাকা উচিত কি উচিত না এখন আমাদের তর্কটা সেদিকে চলে যাচ্ছে। এটা রাজনীতির দলগুলির উপর ছেড়ে দিই। আমরা যাঁরা রাজনীতি করিনা তাঁরা বরং এদের দ্রুত নিয়োগের দাবি তুলি। সরকার যে যুক্তিগুলি দেখাচ্ছে সেগুলি ধোপে টিকছে না। সরকার চাইলে নিয়োগ করতে পারে। সেটার দাবিতেই আমরা এসেছি।”      

যদিও কৌশক সেন ধরনা মঞ্চে যেতেই বক্রোক্তি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। তিনি বলেন, “ত্রিপুরায় খোঁজ নিন। সেখানকার ধরনা মঞ্চে ঘুরে আসুন।” তবে ঋদ্ধি সেন বলেন, “আজকে আমাদের শহরে যখন আনন্দের দিন আসে, আমরা যখন দুর্গাপুজো কাটই তখন কি আমরা প্রশ্ন করি কেন আনন্দে মেতে উঠি? সকলকে দেখে আমাদের মধ্যেও আনন্দ বোধ জেগে ওঠে। এখানে ওরা ৫৭৪ দিন ধরে এখানে বসে রয়েছেন। আমার মনে হয় যে কোনও নাগরিকেরই ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে তাঁরা এখানে আসবেন। আমাদের কোনও আলাদা ক্রেডিটের বিষয় নয়।”