
কলকাতা: দুর্গাপুজো গিয়েছে, কালীপুজো গিয়েছে। এবার জগদ্ধাত্রী পুজোয় মেতে উঠছে বাংলা। কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি চন্দননগরেও বাড়ছে ভিড়। প্রতি বছর এই দুই শহরে তুমুল উন্মাদনার ছবি দেখা গেলেও বর্তমানে রাজ্যের নানা প্রান্তেই জগদ্ধাত্রী আরাধনার ছবিটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এবার পুজোর মুখে বড় ঘোষণা করল ভারতীয় রেল। যাত্রীদের ভিড়ের কথা মাথায় রেখে চলবে স্পেশ্যাল ট্রেন। ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করে সে কথা জানান হয়েছে। তাতে কৃষ্ণনগরে আগত দর্শনার্থীদের অনেকটাই সুবিধা হবে।
৩০ অক্টোবর ও ৩১ অক্টোবর রাতে কৃষ্ণনগর ও রানাঘাটের মধ্যে চলবে একজোড়া স্পেশ্য়াল লোকাল। তালিকায় থাকা সব স্টেশনে তো দাঁড়াবেই সঙ্গে সব হল্ট স্টেশনেও দাঁড়াবে। রানাঘাট থেকে একটি স্পেশ্যাল লোকাল ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগর থেকে ওই দু’দিন একটি স্পেশ্যাল লোকাল ছাড়বে রাত সাড়ে ১২টায়।
এদিকে ক্যালেন্ডার বলছে, ২৭ অক্টোবরই ছিল এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী। ২৮ তারিখ সপ্তমী। ২৯ তারিখ বুধবার এবার অষ্টমী। ৩০ অক্টোবর নবমী। তবে তা তিথি মেনে শুরু হয়ে যাচ্ছে ২৯ অক্টোবর থেকেই। তবে প্রতি বছরই অষ্টমী, নবমীতেই সর্বাধিক ভিড়ের ছবি দেখা যায় কৃষ্ণনগর, চন্দরনগরে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর চল বেড়েছিল এই কৃষ্ণনগরে। এখনও মহাসমারোহেই দেবীর আরাধানা চলে আসছে। পরবর্তীতে হুগলির চন্দননগরেও পুজোর খ্যাতিও গোটা দেশ তথা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিগত কয়েক দশক ধরেই চন্দননগরের আলোকসজ্জা দেখতে ভিড় জমান দূর-দূরান্তের মানুষ। একইসঙ্গে বিজয়ার শোভাযাত্রাতেও উপচে পড়ে ভিড়।