
কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে গত ৭ মে। তারপর কেটে গিয়েছে সাড়ে তিন মাস। কলেজে ভর্তি শুরু হয়নি। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধেছে বিরোধীরা। অবশেষে শুক্রবার ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিতেই স্নাতকস্তরে কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তির পোর্টালে মেধাতালিকা প্রকাশিত হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আজ থেকেই অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রাত্য বসু লেখেন, “স্নাতকস্তরে কেন্দ্রীয় অনলাইন ভর্তির পোর্টালে আজ প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হল। আইনি জটিলতায় মেধাতালিক প্রকাশ আটকে থাকায় ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের মতো আমরাও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলাম। মোট ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৬৬৭ জন বৈধ আবেদনকারীকে আমরা ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৪৬০টি কলেজের ৭ হাজার ২৩২টি বিষয়ের ৪ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৭টি আসন আমরা প্রাথমিক তালিকায় বণ্টন করেছি তাদের পছন্দের ভিত্তিতে।”
এরপরই তিনি বলেন, “আজ থেকেই কলেজগুলিতে অনলাইনে ভর্তি চালু হয়ে গিয়েছে এই মেধাতালিকার ভিত্তিতে। প্রথম দফায় যা ২৫ অগস্ট পর্যন্ত চলবে। স্নাতকস্তরে নতুন পথচলা শুরুর সন্ধিক্ষণে সকল ছাত্রছাত্রীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। স্বামীকে স্মরণ করে পথ চলা শুরু হোক তোমাদের।”
এই বছর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৬ জন। পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। সাড়ে তিনমাস পরও স্নাতকস্তরে ভর্তি শুরু না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। বিরোধীরাও রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে। শিক্ষামন্ত্রী জানালেন, আটনি জটিলতায় মেধাতালিকা প্রকাশ আটকে ছিল। অবশেষে সেই জটিলতা শেষে এদিন মেধাতালিকা প্রকাশিত হল। এখন দেখার, কতজন পড়ুয়া স্নাতকস্তরে ভর্তি হন। গত বছর বিভিন্ন কলেজে আসন খালি ছিল। এবার সেই রকম পরিস্থিতি তৈরি হয় কি না, সেটাই দেখার।