AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

OBC-Admission Process: ওবিসি-মামলা জটে আটকে ভর্তি প্রক্রিয়া, ‘ড্রপ আউটে’র আশঙ্কায় কৃতীরা

OBC-Admission Process: রাজ্যের OBC সংরক্ষণ নীতিই এর নেপথ্য! ২০১১ সালের আগের সংরক্ষণের ভিত্তিতে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতে তরফে। নয়া নীতি মেনে ১৭ শতাংশ OBC সংরক্ষণ করতে চায় রাজ্য। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি হাইকোর্ট। এখনও পর্যন্ত ১৭ শতাংশ সংরক্ষণেই ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী রাজ্য। আর তাতে আটকে ভর্তির প্রক্রিয়া।

OBC-Admission Process: ওবিসি-মামলা জটে আটকে ভর্তি প্রক্রিয়া, 'ড্রপ আউটে'র আশঙ্কায় কৃতীরা
উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম ঐশীকি দাস (ডান দিকে), উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম হওয়া রাজদীপ শাসমল (বাঁ দিকে)Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2025 | 2:53 PM
Share

কলকাতা: ওবিসি মামলার জটে আটকে কলেজে ভর্তি। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ প্রায় সাড়ে তিন মাস পার, কিন্তু এখনও কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে। প্রশ্নের মুখে সাড়ে চার লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ১১৪ জন আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও অন্ধকারে ভবিষ্যৎ! এমনকি পরিস্থিতি এমন উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম হয়েও বছর নষ্ট হওয়ার ভয় পাচ্ছেন কৃতী ছাত্র।

বুধবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা এবং বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাডমিশন কমিটি’-র বৈঠকের পর এই দুই বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু OBC জটে সেটাও আটকে।

ভর্তিতে জট কোথায়?

রাজ্যের OBC সংরক্ষণ নীতিই এর নেপথ্য! ২০১১ সালের আগের সংরক্ষণের ভিত্তিতে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতে তরফে। নয়া নীতি মেনে ১৭ শতাংশ OBC সংরক্ষণ করতে চায় রাজ্য। কিন্তু তাতে সায় দেয়নি হাইকোর্ট। এখনও পর্যন্ত ১৭ শতাংশ সংরক্ষণেই ছাড়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী রাজ্য। আর তাতে আটকে ভর্তির প্রক্রিয়া।

অন্ধকারে ডাক্তারি ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্ররা

কেবল কলেজেই নয়, জটে ডাক্তারির ভবিষ্যৎ।  আদালতের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলপ্রকাশে জট।  ওবিসি তালিকা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় ১১ হাজার ১৭৮ হবু ডাক্তার। এদিকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎও। রাজ্যের ৩৭ হাজার আসনে শুরু হয়নি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভর্তি।

ড্রপ আউটের ভয় কৃতীদের

যেমনটা উচ্চ মাধ্যমিকে অষ্টম হওয়া রাজদীপ শাসমলের ক্ষেত্রে! তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চান। পরিস্থিতি যেরকম, তাতে স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার ভয় পাচ্ছেন তিনি। রাজদীপ বললেন, “আশা করেছিলাম যাদবপুরে কম্পিউটার সায়েন্স হয়ে যাবে, কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাতে খুবই চিন্তিত রয়েছি।” উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম ঐশীকি দাসের বক্তব্য, “আমাদের মানসিক চাপ অনেকটা বেশি বেড়ে যাচ্ছে। জয়েন্টের রেজাল্ট বেরনোর কথা ছিল, সেটাও পিছিয়ে গেল। বুঝতে পারছি না কী হবে।”

শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

ইতিমধ্যেই ভিন রাজ্যের কলেজে ভর্তি হতে শুরু করেছেন কৃতীরা। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “এই সপ্তাহের ওয়ার্কিং ডে-র মধ্যে জয়েন্টের ফল প্রকাশের নির্দেশ না দেন, তাহলে আগামী সপ্তাহে বিজেপি বিধায়করা অভিভাবকদের নিয়ে সারাদিন বিকাশভবনের বাইরে ধরনায় বসে থাকব। আর তার জন্য হাইকোর্টে যাব।”

কী বলছে তৃণমূল?

অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “ছেলেমেয়েরা হেনস্থার শিকার হচ্ছে, অভিভাবকরা বিব্রত, শুভেন্দুবাবুর তো উচিত, তাঁর দলের যে সমস্ত আইনজীবীরা এই জট পাকাচ্ছেন, তাঁদেরকে গিয়ে বলা। তার বদলে রাজভবনে যাচ্ছেন কেন?”

রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে এখন ঝুলে প্রায় সাড়ে তিন-চার লক্ষ পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ।