কলকাতা : ফের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা। পিএসসি দফতরের সামনে সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান চাকরিপ্রার্থীরা। আর সেই বিক্ষোভ ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খাদ্য দফতরের এসআই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২৮ দিনের মধ্যে সব নিয়োগ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তা সত্ত্বেও এখনও নিয়োগ হয়নি বলেই অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। এই দাবি নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় টালিগঞ্জের পিএসসি দফতরের সামনে। প্রবল গরমে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন অনেকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় চাকরিপ্রার্থীদের। পরে বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত কয়েক বছর ধরে এই নিয়োগ নিয়ে জটিলতা ছিল বলে জানা গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ওই পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নিয়েছিল পিএসসি বা পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তারপর মেধাতালিকায় তাঁদের নামও ওঠে। কিন্তু, সেই তালিকা থেকে ১০০ জনকে নিয়োগ করা হলেও বাকিদের নিয়োগ করা হয়নি। নতুন প্যানেল প্রকাশ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ থেকে সরবেন না বলে জানিয়ে দেন চাকরিপ্রার্থীরা।
তাঁরা বলতে থাকেন, ‘বাড়ি গিয়ে বাবা-মাকে কীভাবে মুখ দেখাব? তার থেকে মরে যাব তাও ভাল।’ তাঁদের দাবি স্যাটের রায় অমান্য করা হয়েছে। তাঁরা এ বিষয়ে পিএসসি অফিসের দ্বারস্থ হলেও তাঁদের কথা শোনা হয়নি বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ চলতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যান ডিসি সাউথ। এ দিন বেশ কয়েকজনকে টেনে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। তবে পুলিশ ভ্যানে উঠেও চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। পুলিশের অত্যাচারে বিক্ষোভ বন্ধ করা যাবে বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর দাবি, তাঁদের গায়ে হাত তুলেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কয়েক মাস ধরে এই নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলছিল। অবশেষে স্যাটের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় ২৮ দিনের মধ্যে প্রত্যেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। সেই নির্দেশের পর ২৮ দিন পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ হয়নি। তাই এই বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন : Mahua Moitra: ‘ক্রেতাদের বোকা বানানো হচ্ছে…’, বিদেশি সংস্থার বিরুদ্ধে গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার