হাতে ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার’, তাও নেই চাকরি! ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামাতে লাঠি হাতে নামল পুলিশ
পরীক্ষা দেওয়ার পরও থমকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ।
কলকাতা: নিয়ম মেনে পরীক্ষা হয়েছিল, সব প্রক্রিয়াই সম্পূর্ণ হয়েছে ইতিমধ্যে। অনেকের হাতে পৌঁছেছে নিয়োগ পত্রও।অথচ মাসের পর মাস কাটলেও চাকরিতে যোগ দিতে পারেননি তাঁরা। একই পরীক্ষা দিয়ে প্রায় ২৮০০ প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিলেও বাকি সাড়ে ৬ হাজার চাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। আর এই অভিযোগ নিয়েই আজ কলকাতায় হাজির হয়েছেন কয়েক’শ চাকরি প্রার্থী। বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের শান্ত করতে বিক্ষোভ স্থলে পৌঁছেছেন ডিসি সাউথ। পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলে লাঠি হাতে রাস্তায় নামে পুলিশ। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে।
জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই প্রার্থীরা। এই পদের জন্য ৮, ৪১৯ জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ২৮০০ জনের নিয়োগও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকিদের নিয়োগ হয়নি এখনও। এরই মাঝে একটা আইনি জটিলতাও তৈরি হয়েছিল এই নিয়োগে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও কেন নিয়োগ শুরু হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থীরা। কয়েক মাস হয়ে গিয়েছে, তাঁদের অনেকের হাতে এসেছে নিয়োগ পত্র, অথচ চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। এই ইস্যুতেই আজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
অবিলম্বে নিয়োগ শুরুর দাবিতে এই বিক্ষোভ চলছে ভবানী ভবনের সামনে। উপস্থিত এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘দেখুন আমার হাতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার আছে। বাড়িতে বাবা অসুস্থ। কী করব বুঝতে পারছি না।’ আর এক প্রার্থী বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল) বন্ধ আছে, স্যাট খুললে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্যাট খুলে যাওয়ার পরও নিয়োগের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। একই পরীক্ষা দিয়ে ২৮৭১ জন চাকরি পেল, বাকিরা কেন পাচ্ছে না?’
অন্যদিকে, দীর্ঘ জট কাটিয়ে আজ শুরু হয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ। ১২০০ থেকে ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এত সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীকে প্রত্যেকদিন ইন্টারভিউতে ডাকার জন্য একাধিক ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। দীর্ঘ আট বছররে জট কাটিয়ে অবশেষে শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলির বাইরে এখন রমরমিয়ে চলছে ‘লাইন বিক্রি’র ব্যবসাও!