ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলির বাইরে এখন রমরমিয়ে চলছে ‘লাইন বিক্রি’র ব্যবসাও!
Kolkata COVID Vaccination: সোমবার সকালে ভ্যাকসিনেশনের জন্য কলকাতার এসএসকেএম, নীলরতন সরকার, মানিকতলা ইএসআই ও আরজিকর হাসপাতালে টিকা শিবিরের সামনে ভিড়।
কলকাতা: ভোর রাত থেকে আর পাঁচ জনের মতই লাইনে দাঁড়ান তাঁরা। কিন্তু পরে দেখা যাচ্ছে, তাঁরা টিকা নিচ্ছেন না, বরং তাঁর লাইনে টিকা নিচ্ছেন অন্য ব্যক্তি! তাহলে হলটা কী? এখানেই লুকিয়ে ‘লাইন বিক্রি’র ব্যবসার আসল রসদ। আসলে হাসপাতালগুলির বাইরে এখন নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন একাংশ। নিজেরা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, পরে তা মোটা টাকার বিনিময়ে অন্যকে দিয়ে দিচ্ছেন! এক প্রকার গজিয়ে উঠেছে দালাল চক্র।
ভ্যাকসিন (COVID Vaccination) নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার খোদ শহরবাসী। শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে রাতভর খোলা আকাশের নীচেই অপেক্ষা করলেন শয়ে শয়ে মানুষ। অপরদিকে মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালের ভ্যাকসিনের লাইনে কারচুপি বা কালোবাজারির অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে ভ্যাকসিনেশনের জন্য কলকাতার এসএসকেএম, নীলরতন সরকার, মানিকতলা ইএসআই ও আরজিকর হাসপাতালে টিকা শিবিরের সামনে ভিড়। কোথাও একশো, কোথাও বা দুশো জন অপেক্ষারত। আগের দিন বিকাল কিংবা সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা চলে এসেছেন। বিভিন্ন জেলার প্রান্ত থেকে কলকাতার হাসপাতাল গুলির সামনে রাতভর ফুটপাতে শুয়ে সময় কাটিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও ভ্যাকসিন পেতে দেরি হচ্ছে তাঁদের। কারণ পিছন থেকে দেরিতে আসা অনেকেই টিকা পেয়ে যাচ্ছেন আগে। কিন্তু কীভাবে?
নিকতলা ইএসআই হাসপাতালের সামনে টিকাকরণের লাইনে থাকা গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয়দের অনেকেই প্রায় প্রত্যেক দিনই অহেতুক লাইন দেন। অথচ পরে অন্যদের জন্য ছেড়ে দেন তাঁর লাইনের জায়গা। অভিযোগ, এতেই লুকিয়ে কারচুপি! গ্রাহকদের দাবি, স্থানীয়রা লাইনে দাঁড়িয়ে পরে কালোবাজারি বা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন নিজেদের জায়গা। এমনও অভিযোগ উঠছে।
একই অভিযোগ এসএসকেএমেও। অভিযোগ, এসএসকেএম-এ লাইন নিয়োগ দালালচক্র রয়েছে। যাঁরা পয়সা নিয়ে বেলাইনে মানুষকে ঢুকিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। অবিলম্বে প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে করোনার বলি ১১, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জেলায় কারও মৃত্যু হয়নি, দেখে নিন আপনার জেলার হাল