কলকাতা: হার নিয়ে দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছে ‘কাঠিবাজি’র কথা। তবে মেদিনীপুরে বিজেপি যাঁকে এবার প্রার্থী করে জেতা সিট খুইয়েছে, সেই অগ্নিমিত্রা পাল দিলীপ ঘোষের ‘কাঠিবাজি’ তত্ত্ব মানতে নারাজ। বরং তিনি হারের কারণ কী, তার রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন দিল্লিতে। একইসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, “২০১৬ থেকে দিলীপদা তিন বছর বিধায়ক থাকার পর, সংগঠনের কাজ করার পর দিলীপদা পেয়েছিলেন ৬ লক্ষ ৮৫ হাজার প্লাস ভোট। আর আমি দু’মাস থাকার পর আমি পেয়েছি ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার প্লাস ভোট। মেদিনীপুরের মানুষকে তো দোষ দিতে পারব না।”
মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে বিজেপি প্রার্থী করে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। আর দিলীপের মেদিনীপুরে পাঠানো হয় অগ্নিমিত্রা পালকে। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দিলীপও হেরেছেন, আর অগ্নিমিত্রাও জিততে পারেননি। যে পাটিগণিত কষেই বিজেপি এই প্রার্থী বদল করুক না কেন, অঙ্ক মেলেনি।
৫ জুনই দিলীপ ঘোষ শুনিয়েছিলেন, “আমাকে দল যখন যা বলেছে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। কোনও ফাঁক রাখিনি। তবে যাঁরা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তাঁরা ভাববেন।” একইসঙ্গে দিলীপ বলেছেন, “চক্রান্ত এবং কাঠিবাজি রাজনীতির অঙ্গ। আমি ব্যাপারটা সেভাবেই নিয়েছি। তার পরেও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সফলতা আসেনি। রাজনীতিতে সবাই কাঠি নিয়ে ঘুরতে থাকে।”
অগ্নিমিত্রা পাল অবশ্য একেবারেই এ কথা মানছেন না। বরং অগ্নিমিত্রার দাবি, “আমাকে আসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডা। কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে আমাদের বিরোধী দলনেতা আমাকে সিট দিয়েছেন। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল কথা। কারণ আমি আসন চেয়েছিলাম আসানসোল বা দুর্গাপুর। আমি সেখানে কাজ করেছিলাম। তবে কারও সুপারিশে আমি আসন পাইনি। আমাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সর্বভারতীয় সভাপতি ফোন করে এই সিটে দাঁড়াতে বলেছিলেন। আমাকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিট দিয়েছেন। দিলীপদাকেও নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিট দিয়েছেন। সেখানে তো ঘুম থেকে উঠে বলে দিলাম এই আসনে এই হবে, তা হয় না। আমাদের দলটা তেমন তো নয়। তবে নিশ্চয়ই কিছু তো হয়েছিল যার জন্য আমাকে ওখানে পাঠানো হয়েছিল। বাকিটা তো দিলীপদাকেই উত্তর দিতে হবে।”