All Party Meeting: ‘বুকের প্রতিটি রক্তবিন্দু সঁপে দেব, বাংলা ভাগ হতে দেব না’, মমতাকে প্রতিশ্রুতি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'মাতৃসমা' বলে সম্বোধন করলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। আর নিজেকে পরিচয় দিলেন 'ঘরের সন্তান' বলে।

All Party Meeting: 'বুকের প্রতিটি রক্তবিন্দু সঁপে দেব, বাংলা ভাগ হতে দেব না', মমতাকে প্রতিশ্রুতি অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার
সর্বদল বৈঠকে মমতাImage Credit source: টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2023 | 6:52 PM

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নবান্নে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বিজেপির তরফে কোনও প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। তবে রাজভবনে পালিত হওয়া ২০ জুনই যে তারা পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে চাইছে, সে কথা ইতিমধ্যেই বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তবে আজ অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার তরফে সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হল, তারা পয়লা বৈশাখকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালনের পক্ষে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মাতৃসমা’ বলে সম্বোধন করলেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। আর নিজেকে পরিচয় দিলেন ‘ঘরের সন্তান’ বলে। একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন, অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা বঙ্গভঙ্গের ঘোর বিরোধী। পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে উঠতে দেখা গিয়েছে। শাসক দলের নেতারা তখন অভিযোগ তুলেছেন, এই ধরনের দাবিতে নেপথ্যে প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে পদ্ম শিবিরের। এমন অবস্থায় ‘প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল’ অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা নিজেদের অবস্থায় স্পষ্ট করে দিল। একইসঙ্গে কখনও নাম না করে, কখনও আবার নাম করে বিজেপিকেও ঠেস দিতে ছাড়লেন না অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি।

অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার তরফে এদিন সর্বদল বৈঠকে জানানো হয়, ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্টের আগেও তারা দেশভাগের বিরোধিতা করেছে। আর এখনও যদি কোনও রাজনৈতিক দল বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করে, তাহলে আবার বিরোধিতা করবে তারা। সংগঠনের সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বললেন, ‘আমরা যেমন ভারত বিভাজনের বিরুদ্ধে, আমরা বঙ্গ বিভাজনের বিরুদ্ধেও। ভবিষ্যতে নিজের রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে যদি কোনও রাজনৈতিক দল পশ্চিমবঙ্গকে বিভাজন করার চেষ্টা করে, তাহলে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার তরফে কথা দিয়ে গেলাম বুকের প্রতিটি রক্তবিন্দু আমরা সঁপে দেব। আমরা কোনও মূল্যে পশ্চিমবঙ্গকে বা বঙ্গ প্রদেশকে বিভাজিত হতে দিতে চাই না, দেবও না।’