Calcutta University: এবার ছুটি বিতর্ক! রাজ্যের নির্দেশ মেনে বিশ্বকর্মা পুজোয় সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রইল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন পরীক্ষা না রাখার আর্জি কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা না ফেলার আর্জি জানানো হয়েছিল। উচ্চ-শিক্ষাদফতর তো বটেই, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অনুরোধ করেছিলেন উপাচার্য শান্তা দত্তকে যাতে ওই দিন পরীক্ষা না ফেলা হয়।

Calcutta University: এবার ছুটি বিতর্ক! রাজ্যের নির্দেশ মেনে বিশ্বকর্মা পুজোয় সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রইল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
শান্তা দত্ত, উপাচার্যImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 17, 2025 | 5:46 PM

কলকাতা: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন রাজ্যের সব সরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছুটি থাকলেও খোলা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে চলছে স্নাতকোত্তরের কাউন্সেলিং। বস্তুত, এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ছুটি নিয়ে একপ্রস্থ রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্তের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল। তার মধ্যেই এবার ছুটি ঘিরে বিতর্ক।

কিন্তু এর পিছনে কী যুক্তি দেখিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়?

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুক্তি, কোনওদিনই বিশ্বকর্মা পুজোয় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকত না। তাই এবারেও খোলা। বন্ধ রাখার কোনও কারণ নেই। শুধু তাই নয়, রাজ‍্য সরকারের কোনও নির্দেশও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছয়নি বলে দাবি CU-র।

প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন পরীক্ষা না রাখার জানানো হয়েছিল। উচ্চ-শিক্ষাদফতর তো বটেই, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে অনুরোধ করেছিলেন উপাচার্য শান্তা দত্তকে যাতে ওই দিন পরীক্ষা না ফেলা হয়। তবে ওইদিন কোনও পরীক্ষা স্থগিত হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। পরীক্ষা হয়ও। তবে সেই জল গড়ায় অনেক দূর। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো বটেই, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তীর কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় শান্তাকে। প্রশ্ন তোলা হয় যোগ্যতা নিয়ে। যদিও চুপ থাকেননি শান্তাও। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ছুটি বিতর্ক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

শান্তা দত্ত বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারে ছুটি নেই। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারেই ছুটি দেওয়া আছে। কারণ, ওদের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি খুব স্ট্রং। পুজো হয়। এটা দীর্ঘদিনের। রেজিস্ট্রারের কাছে অতিরিক্ত ছুটির কপি আসেনি।”