Cheating in MBBS Exam: এসএসকেএমে ডাক্তারি পরীক্ষায় টুকলির ছড়াছড়ি! এ ভাবে পাশ করেই কি রোগী দেখবেন হবু চিকিৎসকরা?
SSKM: হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ভবনের শৌচাগারের যে ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মেঝের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছোট ছোট কাগজের টুকরো। আস্ত বই থেকে পাতা ছিঁড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পড়ার প্রমাণও জ্বলজ্বল করছে।
কলকাতা : রাজ্যের হবু চিকিৎসকরাই কি এবার ‘নকলনবিশ’? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। সৌজন্যে, ডাক্তারি পরীক্ষায় টুকলি। মঙ্গলবার রাজ্যের উৎকর্ষ কেন্দ্র এসএসকেএমের (SSKM Medical College and Hospital) পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরের এক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। আর তা ঘিরেই তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা চলছে এখন। আর তারই মধ্যে এসএসকেএমের অ্যাকাডেমিক ভবনের শৌচাগারে টুকলির ছড়াছড়ি। এমনটাই অভিযোগ উঠে এসেছে। হবু চিকিৎসকদের হাতে রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্র কতখানি সুনিশ্চিত, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে।
হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ভবনের শৌচাগারের যে ছবিটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মেঝের চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছোট ছোট কাগজের টুকরো। আস্ত বই থেকে পাতা ছিঁড়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পড়ার প্রমাণও জ্বলজ্বল করছে। শৌচাগারের অবস্থা দেখে আঁতকে উঠছেন চিকিৎসকদেরই একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, এ ভাবে পাশ করেই কি আগামিদিনে রোগী দেখবেন হবু চিকিৎসকরা! তবে কীভাবে শৌচাগারের ভিতরে এত টুকলি এল, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যের চিকিৎসকদের হাজিরা নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক চলছে। যেভাবে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার পর হাজিরার প্রমাণ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপে লোকেশন পাঠানোর কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা শুরু করেছেন। চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনা যখেষ্ট অপমানজনক চিকিৎসকদের জন্য। যদিও চিকিৎসকদের অন্য একাংশ বলছে, কোভিডকালে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকদের অভ্যেসে বদল হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনার জন্য কড়াকড়ি দরকার ছিল। রাজ্যে যখন চিকিৎসকদের ফাঁকিবাজি নিয়ে এমন বিতর্ক চলছে, তখন রাজ্যের হবু চিকিৎসকদের এমবিবিএস পরীক্ষার ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষায় নকল করা ঘিরে ফের প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে। প্রশ্ন উঠছে, মানুষ প্রাণ হাতে নিয়ে কাদের কাছে যাবেন? যাঁরা ‘টুকলি’ করে পরীক্ষায় পাশ করেছেন, তাঁদের হাতেই কি নিজেদের বাঁচা মরার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিতে হবে? যদিও বিষয়টি নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।